Home আইন আদালত ঢাকায় প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রদ্রোহের দুই মামলা খারিজ

ঢাকায় প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রদ্রোহের দুই মামলা খারিজ

659
0
SHARE

ওয়াশিংটনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ এনে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রদ্রোহের পৃথক দুটি মামলা খারিজ করেছেন আদালত।

ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের পৃথক দুই বিচারক মামলা দুটি খারিজ করে দেন। খারিজ আদেশে বলা হয়, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে হলে সরকারের অনুমতি নিতে হয়। সেই অনুমতি নাই। এ ছাড়া মামলার বাদীরা সরকারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধিও না। তাই তাঁদের অভিযোগের আবেদন আমলে নেওয়ার সুযোগ নাই।
এর আগে, সকালে আদালতে বাদী হয়ে প্রথম মামলাটি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের সদস্য মো ইব্রাহিম খলিল। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ঢাকার মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান বিকাল তিনটায় মামলাটি খারিজ করে দেয়। এবং বাদী হয়ে পরের মামলাটি করেন আইনজীবী সায়্যেদুল হক সুমন। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ঢাকার মহানগর হাকিম জিয়াউল হাসান বেলা দুইটায় খারিজ করে দেন।

মামলা দুটির বাদীরা প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২৪(ক) ধারায় অভিযোগ দায়ের করে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি কারার আবেদন করেছিলেন। আবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা যে অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।
জানাগেছে, ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক দ্বিতীয় সম্মেলনে যোগ দেন প্রিয়া সাহা। ১৬ থেকে ১৮ জুলাই এই সম্মেলনের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র। গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ১৬টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান। এ সময় প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদেও লোকজনকে সহায়তা রুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।’ এরপর তিনি বলেন, ‘এখন সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়িঘর হারিয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি।’ ভিডিওতে এক পর্যায়ে ট্রাম্প নিজেই সহানুভূতির সঙ্গে এই নারীর সঙ্গে হাত মেলান। পরে প্রিয়া সাহা আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যকার কথোপকথন প্রকাশ পেলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও তীব্র নিন্দা জানানো হয়।