Home এইমাত্র দেশের সবক্ষেত্রে লুটপাট চলছে: মির্জা ফখরুল

দেশের সবক্ষেত্রে লুটপাট চলছে: মির্জা ফখরুল

602
0
SHARE

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের শাসনে দেশের সবক্ষেত্রে লুটপাট চলছে। এই সরকারটা প্রতারক সরকার।

এরা হয়ে গেছে এখন ফর দ্য লুটেরাজ, বাই দ্য লুটেরাজ, অব দ্য লুটেরাজ। লুট ছাড়া আর কিছু নেই। একেবারে তৃণমূল থেকে শুরু করে ওপর পর্যন্ত শুধু লুট চলছে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার’ নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে ‘আমার দেশ আমার শিল্প’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় মঙ্গলবার তিনি এসব কথা বলেন।

টিআর-কাবিখা থেকে শুরু করে মেগা প্রজেক্ট পর্যন্ত সব ভাগ-বাটোয়ারা চলছে মন্তব্য করে এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, দেশকে বাঁচাতে হলে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশকে বাঁচাতে হলে দেশপ্রেমিক নেতাকে ফিরিয়ে আনতে হবে, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে আবার মুক্ত করে নিয়ে আসতে হবে।

চামড়ার দরপতনের পেছনে কারসাজি রয়েছে বলে মনে করে মির্জা ফখরুল। এর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় ভারতের নতুন চামড়া শিল্পনগরী গড়ে ওঠার কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের ফলে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। আমাদের কানেকটিভি তৈরি হচ্ছে- খুব ভালো কথা, আমাদের মানুষের আয় বাড়ছে, খুব ভালো কথা; কিন্তু এটাকে টেকসই করতে হলে যে শিল্পের প্রসার দরকার এবং যে কর্মসংস্থান দরকার, সেটা আমরা করতে পারছি না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের এখানে ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠছে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রি বলতে গার্মেন্ট। আজ আমাদের শিল্পের যদি বিকাশ ঘটাতে হয় তাহলে বাংলাদেশকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সরকারের ব্যর্থতা এই জায়গায়ই। তারা সেই সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, সোমবারই একটা কথা শুনলাম, মেট্রোরেল, এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ের একেকটা পিলার নাকি একেকজন সরকারি দলের লোকজনকে দেয়া হয়েছে।

তো আমি জিজ্ঞেস করলাম, এখানে তো বিদেশি বিনিয়োগকারীরা রয়েছে। এখানে তো তারা কাজ করছে। পরে জানলাম একেকটা পিলার একেকজন ক্ষমতাসীন সরকারি দলের লোককে দেয়ার জন্য সেসব বিনিয়োগকারীকে বাধ্য করা হয়েছে। এই যদি অবস্থা হয়, লুট ছাড়া কোনো কিছু নাই।

অনুষ্ঠানে চামড়া শিল্পের ওপর মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন টিএস আইয়ুব। আয়োজক সংগঠনের পরিচালক বাবুল তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ডিএম আমিরুল ইসলাম অমরের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।