সৌদি আরবে বিয়ের অপেক্ষায় ৫৪ লাখ ২৬ হাজার যুবক-যুবতী। এর মধ্যে যুবক প্রায় ৩২ লাখ এবং নারী ২২ লাখ ২৬ হাজার। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দেশটির সাধারণ পরিসংখ্যানে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এ পরিসংখ্যানের ফলাফল জানানো হয় ৩১ জানুয়ারি। তেলসমৃদ্ধ এ দেশটির বর্তমান জনসংখ্যা ৩ কোটি ১৮ লাখ। সৌদি আরবের ১ হাজার ২২৫ জন নাগরিকের ওপর এ পরিসংখ্যান চালানো হয়। দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ শাসনভার গ্রহণ করার পর থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পশ্চিমা-নীতি অনুসরণ করার চেষ্টা করছেন। বিগত দুই বছরে এ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিনোদন কেন্দ্র খোলার কারণে সেখানে আগত যুবক-যুবতীরা গভীর রাত পর্যন্ত সময় কাটানোর পরিবেশ খুঁজে পেয়েছেন।
পরিসংখ্যানের ফলাফলে আরও বলা হয়, বয়স ৩৯ দশমিক পেরিয়ে গেলে পুরুষদের এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৩৬ দশমিক ৪ বছর পেরোলে আর বিয়ে হয় না। শেখ আবদুল্লাহ বিন জালালি নামে এক অভিভাবক বলেন, দেশের বেশির ভাগ পরিবার স্কুলের গি পেরোলে ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেন। তিনি আরও বলেন, এ দেশের অনেকে একাধিক বিয়ে করে থাকেন। এটা দেশের প্রথায় পরিণত হয়েছে। আমি কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে দেড় বছর আগে বিয়ে দিয়েছি। তার এক সন্তান রয়েছে। সৌদি যুবতী তৌহিদা জামালি (২০) বলেন, আমি একাদশ শ্রেণিতে পড়ছি। আমার বাবা বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছেন। সব ভেবে আমিও বিয়ের পক্ষে মত দিয়েছি। আগামী সপ্তাহে আমার বিয়ে। বিয়ের পর আমি মা হব। এটাই আমার স্বপ্ন। কিং আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থী জাহেদ সালিকিন বলেন, আমারও কলেজে পড়ার সময় বিয়ে হয়েছে। আমি দুই সন্তানের জনক। রোশান ফেরদৌসী আসফিয়া নামের এক নারী জানান, তার বর্তমান বয়স ৩২ বছর। এ কারণে কেউ তাকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না। এজন্য তিনি বিয়ের আশা ছেড়ে দিয়েছেন। খালেদ রাশেদীন (২৮) নামের এক সৌদি যুবক বলেন, আমি পারিবারিক চাপে দুই বছর আগে বিয়ে করেছি। আমি এক সন্তানের জনক। আমার স্ত্রী কলেজে পড়ছেন। এ প্রসঙ্গে দেশটির মাজমা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. হুমাইসি আল-ধাইধান বলেন, এ দেশের প্রতিটি যুবক-যুবতী বিয়ের জন্য সুন্দর মনের একজন সঙ্গী চান। তারা ভাবেন, নিজেদের স্বপ্নের বর-কনে পেয়ে যাবেন। আধুনিক প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি তথ্যবিপ্লব ঘটে যাওয়ার কারণে তাদের বেশির ভাগ সেখানে যুক্ত থাকছেন।