Home আন্তর্জাতিক ‘রোহিঙ্গা নির্যাতনে জড়িত সেনা সদস্যদের শাস্তি দেয়া হবে’

‘রোহিঙ্গা নির্যাতনে জড়িত সেনা সদস্যদের শাস্তি দেয়া হবে’

451
0
SHARE

রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নির্যাতনে জড়িত সেনা সদস্যদের কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে সাজা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লেইং।

নতুন একটি তদন্তে রোহিঙ্গা নির্যাতনে সেনা সদস্যদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ার পর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। রবিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর দিয়েছে।
রয়টার্স জানায়, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লেইং’র ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি সেনাবাহিনীর একটি আদালত রাখাইন অঞ্চলে অনুসন্ধান চালিয়েছে। সেখানে তারা একটি রোহিঙ্গা গ্রামে সামরিক অভিযানকালে ‘কিছু ক্ষেত্রে সেনা সদস্যরা নির্দেশ পালনে দুর্বলতা প্রদর্শন করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে।

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র তুন তুন নি রয়টার্সকে জানান, সামরিক ওই তদন্তের তথ্য গোপনীয়। এ ব্যাপারে জানার অধিকার আমাদের নেই। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হলে আরেকটি বিবৃতি দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

২০১৮ সালে বার্তা সংস্থা এপি একটি প্রতিবেদনে জানায়, রাখাইনের গুতারপাইন গ্রামে পাঁচটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে সরকার সে সময় জানায়, ১৯ জন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছেন এবং তাদের মরদেহ ‘সচেতনভাবে সমাধিস্থ’ করা হয়েছে।

রাখাইনে হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের ব্যাপারে জাতিসংঘ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বেশ কিছু মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে চলতি বছরের মার্চ মাসে একজন মেজর জেনারেল ও দু’জন কর্নেলের সমন্বয়ে একটি সামরিক আদালত গঠন করে মিয়ানমার। ওই আদালত জুলাই ও আগস্ট মাসে দু’বার রাখাইন পরিদর্শন করে।

গত বছর জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন জানায়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রাখাইনে ‘গণহত্যার উদ্দেশ্যে’ অভিযান পরিচালনা করে। তারা মিন অং হ্লেইংসহ সামরিক বাহিনীর আরও পাঁচ কর্মকর্তাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় ব্যাপক অপরাধের’ অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করার প্রস্তাব দেয়।

মিয়ানমার বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তবে গত মাসে মিয়ানমারের কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লেইং বলেন, রাখাইনে সহিংসতায় কিছু সেনা সংশ্লিষ্ট থাকতে পারে। যদিও ২০১৭ সালে আরেক তদন্তে এ ইস্যুতে কোনো ধরনের অপরাধ-সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করে সেনাবাহিনী।

ওই বছরই রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সামরিক অভিযানের মুখে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।