Home জেলা সংবাদ হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমার ২ সে.মি. উপরে

হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমার ২ সে.মি. উপরে

319
0
SHARE

১৩ বছর পর কুষ্টিয়ার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্ট এলাকায় পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এর আগে ২০০৩ সালে বিপদসীমা অতিক্রম করেছিল। হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপদ সীমা ১৪.২৫ সেন্টিমিটার।

৩০ সেপ্টেম্বর দুপুর ৩টায় হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে পানির লেবেল ছিল ১৪ দশমিক ১০ সেন্ট্রিমিটার। বিপদসীমার শূন্য দশমিক ১৫ সেন্ট্রিমিটার পানি কম ছিল এ পয়েন্টে। কিন্তু ফারাক্কার সব কটি লকগেট খুলে দেওয়ার কারণে গত ২৪ ঘন্টায় এখানে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১৭ সেন্ট্রিমিটার।
আজ ১ অক্টোবর দুপুর ৩টায় পানির লেভেল ছিল ১৪ দশমিক ২৭ সেন্ট্রিমিটার। যা বিপদসীমার ২ সেন্ট্রিমিটার বেশি। এদিকে পানি বাড়ায় দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, চিলমারির পর ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের কিছু এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কোমরকান্দি গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পদ্মায় পানি বাড়ায় গড়াই নদীতে পানি বাড়ছে প্রতিনিয়ত। জিকে ঘাট ছাড়াও বড় বাড়ার এলাকার বেড়িবাঁধের পাশে বেশ কিছু ঘর-বাড়িতে পানি ঢূকে পড়েছে। অনেকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।

পানি বাড়তে থাকলে কুষ্টিয়া রক্ষা বাঁধসহ অন্যান্য স্থাপনা ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে।
ভাঙ্গন ঠেকাতে দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ডে। জেলা প্রশাসন থেকে দুর্গত এলাকার মানুষের জণ্য ১২ মেট্রিক টন চাউল ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পীযুষ কৃষ্ণ কুন্ডু বলেন, পানি এই মুহূর্তে বিপদসীমার কয়েক সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে দৌলতপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের পর ভেড়ামারা উপজেলার মোসলেমপুরে পানি ঢুকছে। এছাড়া শহর, কুমারখালী ও খোকসার কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করে ক্ষয়ক্ষতি বাড়তে পারে।

জেলা প্রশাসক মো: আসলাম হোসেন বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে প্রতিঘন্টায় বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচেছ। আমাদের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে আছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রস্তুত রয়েছে। আরো ত্রাণ প্রয়োজন হলে আসবে। নদীর পানির উচ্চতা বাড়ায় নতুন নতুন এলাকায় প্লাবিত হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পারিমাণ নির্ধারণ করে প্রতিনিয়ত রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে।