সন্ধ্যার আকাশে জ্বল জ্বল করছে পূর্ণিমার চাঁদ। আলো ছড়িয়েছে সবখানে। ঠিক তখনই শুরু হয় পাহাড়ে সন্ধ্যা প্রদীপ প্রজ্বলন। আনন্দ উল্লাসের মেতে উঠে পাহাড়ের মানুষ। আমেজে ভিন্নতা আনতে ফোটানো হয় হরেক রকম আতশবাজি। শান্তির বার্তা বয়ে আনতে উড়ানো হয় আকাশ প্রদীপও। রঙ-বেরঙের ফানুসের ঝলকানিতে উচ্ছ্বাসে মাতয়ারা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীরা।
রবিবার ভোর থেকে শুরু হয় পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসরত বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের প্রবারণা পুর্ণিমা উৎসব। চলে দিনব্যাপী। এ উপলক্ষে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের আয়োজন করা হয় নানা কর্মসূচি। এসময় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, রাজবন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান উপস্থিত ছিলেন। প্রার্থনায় অংশ নেন হাজারো পূণ্যার্থীরা।
বিকালে বৌদ্ধ ধর্মালম্বী নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী সন্ধ্যায় হাজার বাতি ও নানা রঙের ফানুস হাতে নিয়ে ভিড় জমায় পাহাড়ের বিহারে। প্রবারণা পুর্ণিমা বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। এর অপর নাম আশ্বিনী পূর্ণিমা। ‘প্রবারণা’ শব্দের অর্থ প্রকৃষ্টরূপে বরণ করা। বর্ষাবাস সমাপনান্তে ভিক্ষুসংঘ আপনদোষত্রুটি অপর ভিক্ষুসংঘের নিকট প্রকাশ করে তার প্রায়শ্চিত্ত বিধানের আহবান জানায়। আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে প্রবারণা পালিত হয়।