বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রূপ নেয়েছে। ‘বুলবুল’ নামের এই ঘূর্ণিঝড়টি আরো তীব্র গতি নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার খরবে উপকূল জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কাএণ বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। আছড়ে পড়ছে বিশাল-বিশাল ঢেউ। বইছে ঝড়ো হাওয়া। এই অবস্থায় সাগরে টিকতে না পেরে সুন্দরবনসহ উপকূলের মৎস্য বন্দরে ফিরতে শুরু করেছে ফিশিং ট্রলারগুলো।
আবহাওয়া দপ্তরের সকাল সর্বশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৯০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৮৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে ও পায়রা বন্দর থেকে ৮৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি আরো তীব্র হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মোংলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর ৩ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, ৩০ আক্টোবর অবরোধ শেষে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে থাকা শত-শত ফিশিং ট্রলার বিশাল-বিশাল ঢেউ ও বইতে থাকা ঝড়ো হাওয়ায় টিকতে না পেরে বিকাল থেকে উপকূলের মৎস্য বন্দরে ফিরতে শুরু করেছে। গোটা উপকূল জুড়ে ঘূর্ণিঝড় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
