Home এইমাত্র মোংলা ও পায়রায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

মোংলা ও পায়রায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

206
0
SHARE

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তদসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। আজ শনিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ খুলনা উপকূল সুন্দরবনের নিকট দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আজ দুপুর থেকে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকবে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৩০ কিলোমিটার যা দমকা বা ঝড়ো হওয়া হিসেবে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকট সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ আছে।

মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহে ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের পরিবর্তে বাড়িয়ে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা পিরোজপুর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা ও তাদের দূরবর্তীদ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম বন্দরসমূহকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের পরিবর্তে বাড়িয়ে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও তাদের দূরবর্তী দ্বীপসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও তার দূরবর্তী দ্বীপসমূহ এবং চরে ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।