Home এইমাত্র সাধারণ সম্পাদক পদে থাকতে আপত্তি নেই: ওবায়দুল কাদের

সাধারণ সম্পাদক পদে থাকতে আপত্তি নেই: ওবায়দুল কাদের

294
0
SHARE

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা চাইলে আবারও দলের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকতে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে দলের দায়িত্ব পালন করব। দায়িত্ব পালনে কোনো চাপ নেই। আমি শারীরিকভাবেও সুস্থ আছি। উনি (প্রধানমন্ত্রী) যদি বলেন তাহলে দায়িত্ব পালনে আমার কোনো অনীহা নেই।

তিনি যদি নতুন কাউকে দায়িত্বে আনতে চান, তাহলে আমি স্বাগত জানাব। সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি নতুন বছরে মন্ত্রিসভায় রদবদলেরও ইঙ্গিত দেন।

দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের কাজগুলো একটা ট্র্যাকে চলে। দলেও একটা সিস্টেম গ্রো করেছি। বিভাগীয় দায়িত্বে আমাদের নেতারা রয়েছেন, কাজেই অসুবিধা তো হয়নি। আমি দুই সপ্তাহ ঢাকার বাইরেই থাকছি। বিকালে এসে ফাইল দেখছি।

আমার কোনো ফাইল আজকেরটা আগামী দিনের জন্য জমা থাকেনি। তাই এখানে দায়িত্ব পালনে আমি কোনো চাপের মুখে নেই, অসুবিধা বোধ করছি না। অসুস্থতা হয়ে গেছে, এটার ওপর তো আমার হাত নেই। তবে এখন শারীরিকভাবে যথেষ্ট সুস্থ বোধ করছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্মেলনে যে কোনো পরিবর্তন হতে পারে, নেত্রী (শেখ হাসিনা) দলের স্বার্থে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন। দলে কোনো অসুস্থ প্রতিযোগিতা নেই। তবে দলের সভাপতি পদে পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। নেত্রী তো বারবার বিদায় নিতে চেয়েছেন। তিনি যেতে চাইলেও যেতে দেয়া যায় না। অন্যান্য পদে পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, যারা ভালো পারফর্ম করেননি বা নিষ্ক্রিয় ছিলেন তাদের দায়িত্বে রদবদল আসতে পারে।

তবে কেউ বাদ যাবেন না। বিআরটিএ নিয়ে সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের বক্তব্য নিয়ে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, শাজাহান খানের বক্তৃতার ভাষাটা ভিন্ন। ওখানে তিনি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা। সে হিসেবে তাদের (শ্রমিকদের) খুশি রাখতে কিছু কথা বলতে হয়। আমাদের কাছে তো এসব কথা বলে না।

শাজাহান খানের ভাষ্য অনুযায়ী সরকার বিপদে পড়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের বিপদে পড়ার বিষয় নেই। সরকার সঠিক পথেই আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে নির্দেশ দেবেন, সেভাবে সরকার চলবে। আইনের বাস্তবায়নও হবে। কারও ইচ্ছায় কিছু হবে না। আমার ইচ্ছাও হবে না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।

রোববার এক অনুষ্ঠানে শাজাহান খান সড়ক দুর্ঘটনা ও সড়ক নিরাপত্তা আইন নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বলেছেন, আমি দীর্ঘদিন অনেক কিছু হজম করেছি। এখন বদহজম হয়ে গেছে। সে জন্য কিছু সত্য কথা বলতে হবে। তবে সত্য বললে সরকারের ঘাড়ে যাবে, নয়তো বিআরটিএর ঘাড়ে যাবে। আর না বললে আমরা পাবলিকের গালি খাব।

নতুন বছরে মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আসতে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রিসভায় রদবদল প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। সম্মেলনের আগে এসব (মন্ত্রিসভা পুনর্বিন্যাস) হচ্ছে না। এই মাসেও সম্ভাবনা কম। নতুন বছরে হবে কি না, সেটা তো প্রধানমন্ত্রী বলতে পারেন।

তবে এটা তো রুটিন। ক্যাবিনেট এক্সটেনশন, রিসাফল- এগুলো তো হয়ই সব দেশে। মন্ত্রিসভায় নন-পারফরমার কিংবা পিওর পারফরমার আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একজন মন্ত্রী হয়ে আরেকজন মন্ত্রীকে নন-পারফরমার কেমন করে বলব। এটা কী বলা সম্ভব! জবাবদিহিতা যার কাছে তিনি সেটা মূল্যায়ন করবেন।