Home জাতীয় সিটি ভোট ও এসএসসি পরীক্ষা দুই–ই পেছাল

সিটি ভোট ও এসএসসি পরীক্ষা দুই–ই পেছাল

609
0
SHARE

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন
নির্বাচনের ভোটের তারিখ পেছানো হয়েছে
। এর ফলে
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও
পেছানো হয়েছে।

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৈঠক শেষে আজ রাত সাড়ে আটটার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা নির্বাচন পিছিয়ে ৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে ১ ফেব্রুয়ারি করার কথা সাংবাদিকদের জানান। এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। পরিবর্তিত সময় অনুযায়ী এখন এই পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এই পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ ফেব্রুয়ারি।

সরস্বতীপূজার কারণে ভোট গ্রহণের তারিখ পেছানোর দাবিতে সোচ্চার ছিল বিভিন্ন সংগঠন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, মেয়র প্রার্থীসহ সবাই পূজার দিনে ভোট গ্রহণের বিপক্ষে ছিল। তবে নির্বাচন কমিশন শুরু থেকেই ৩০ তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে অনড় ছিল। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইসির এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আন্দোলন করে আসছিলেন। এ পরিস্থিতিতে আজ শনিবার বিকেলে জরুরি বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘বিকেল চারটা থেকে আপনাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে বলে দুঃখিত। আসলে একটা জটিল পরিস্থিতি ছিল, সেটা গোছগাছ করতে আমাদের সময় লেগেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। উদ্ভূত পরিস্থিতে নির্বাচন পেছানোয় পরীক্ষা পেছানো সম্ভব কি না। ক্যালেন্ডারে ২৯ জানুয়ারি পূজার দিন, ৩০ তারিখ নেই। সে প্রেক্ষাপটেই ৩০ তারিখ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছিলাম।’

সিইসি বলেন, ‘কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে যাতে ব্যাঘাত না আসে, সেটা বিবেচনা করে আমরা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সম্মত হয়েছি। তিনি প্রস্তুতি নিয়ে আমাকে জানিয়েছেন ১ তারিখের পরীক্ষা তারা পেছাবে। সে কারণে নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করে তারিখ পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

নির্বাচনের প্রস্তুতিতে অসুবিধা হবে কি না, এমন প্রশ্নে কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘কোনো অসুবিধা নেই। প্রস্তুতির জন্য আমাদের অনেক কাগজ পরিবর্তন করতে হবে। পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে হবে। যে সার্কুলার দেওয়া হয়েছিল, নির্ধারণ করে পরিবর্তন করতে হবে। রিটার্নিং অফিসারেরা সেটা করে নিবেন।’

নির্বাচন কমিশন কেন পূজা ও ভোটের তারিখের বিষয়টি আগে আমলে নিল না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো গ্রাউন্ড নেই। তফসিল অনুযায়ী, ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ হবে।’

ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও ইসি ভবনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার কক্ষে আজ বৈঠক চলে। এর আগে নির্বাচন কমিশনারদের টেলিফোন করে ইসি কার্যালয়ে বৈঠকে উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল। বিকেল চারটায় বৈঠক শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় সাড়ে চারটার দিকে। মাগরিবের কিছুক্ষণ আগে বৈঠকের বিরতি দেওয়া হয়। রাত আটটার দিকে আবার বৈঠক শুরু হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে এই বৈঠকে ছিলেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর, অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান।

জরুরি তলব করা এই বৈঠকটিতে আরও ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন।