Home জাতীয় সিনহার নিহতের ঘটনায় যা বললেন দুই বাহিনী প্রধান

সিনহার নিহতের ঘটনায় যা বললেন দুই বাহিনী প্রধান

111
0
SHARE

পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের নিহত হওয়ার ঘটনাটিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ড তদন্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে একটি যৌথ তদন্ত কমিটি (জয়েন্ট এনকোয়ারি টিম) গঠন করা হয়েছে। তারা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে।

এ নিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সবসময় কাঁধে কাঁধ রেখে কাজ করেছে। সিনহা নিহতের ঘটনায় দায় ব্যক্তির, কোনো বাহিনীর নয়।

এ নিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, পুলিশ ও সেনাবাহনী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দায়িত্ব পালন করে। কোনো প্রকার উসকানিতে দুই বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হবে না।

আজ বুধবার (০৫ জুলাই) দুপুরে কক্সবাজারে যৌথ ব্রিফিং এ কথা বলেন তারা।

জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে, অবশ্যই সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনী মর্মাহত। আমি আপনাদের মাধ্যমে যে মেসেজ দিতে চাই, তা হলো এটাকে আমরা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখতে চাই।

তিনি বলেন, এই ঘটনার আলোকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি জয়েন্ট এনকোয়ারি টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে গতকাল (মঙ্গলবার) থেকে এই টিম কাজ শুরু করেছে। এই টিমের প্রতি আমাদের সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর পূর্ণ আস্থা আছে। আমরা আশা করব, তারা নিরপেক্ষেভাবে তদন্ত করে সত্য তুলে আনবেন।

আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ সেনাপ্রধানের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন, তারা সব ধরনের প্রভাবমুক্ত হয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করবেন। দয়া করে আমাদের বাহিনীবিরোধী, দেশের স্বার্থবিরোধী উসকানিমূলক আচরণ কেউ করবেন না। এই সংকটকালে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, যেন এই সংকটে আমরা কাটিয়ে উঠতে পারি।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৩১ জুলাই) রাত ৯টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়ায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে মারা যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান। এ ঘটনা তদন্ত করতে প্রথমে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. শাজাহান আলিকে আহ্বায়ক করে গত ১ আগস্ট তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পরে একই দিন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে সদস্য রেখে যুগ্মসচিব পদমর্যাদার চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।