Home আন্তর্জাতিক হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন আইনে ট্রাম্পের স্বাক্ষর, বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা বাতিল

হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন আইনে ট্রাম্পের স্বাক্ষর, বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা বাতিল

108
0
SHARE

হংকংয়ের ওপর চাপানো চীনের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনের প্রতিক্রিয়ায় গত ১৫ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হংকংয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা বন্ধের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। একই সঙ্গে হংকংয়ের অধিকার লঙ্ঘনকারী চীনা ও হংকংয়ের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে একটি আইনেও সই করেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেন, হংকংয়ের সঙ্গে এখন চীনের মতোই ব্যবহার করা হবে। চীন থেকে আর আলাদা মনে করবেন না তিনি।

ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে রোজ গার্ডেনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘তাঁর কার্যনির্বাহী আদেশ হংকংয়ের জন্য অগ্রাধিকারমূলক সুযোগের অবসান ঘটাবে।তিনি বলেন, কোনো বিশেষ সুযোগ-সুবিধা, বিশেষ অর্থনৈতিক চিকিৎসা এবং সংবেদনশীল প্রযুক্তির কোনো রপ্তানি হবে না।’

‘হংকং অটোনমি অ্যাক্ট’ নামের আরেকটি বিলেও স্বাক্ষর করার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প। জুলাইয়ের প্রথমদিকে মার্কিন কংগ্রেসে এ বিলটি সর্বসম্মতিতে পাস হয়েছিল। এই আইনের বলে হংকংয়ের স্বাধীনতা খর্ব করায় ভূমিকা রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গত মে মাসে ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, তাঁর প্রশাসন এই অঞ্চলের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া শুরু করবে।’

ট্রাম্পের সর্বশেষ পদক্ষেপটি হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন ও বাণিজ্য শুল্ক দ্বার উন্মুক্ত করতে পারে। গত দুই বছর ধরে ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে যে বাণিজ্য যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে সেটা এই আইন অনুমোদনে আরো বাড়বে। মার্কিন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে চীনা রপ্তানি বাণিজ্যের উপর চাপ বাড়বে।

সম্প্রতি চীন বিতর্কিত হংকং নিরাপত্তা আইন পাস করায় এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। ১৫০ বছর ঔপনিবেশিক শাসনে থাকার পর চুক্তির মেয়াদ শেষে ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই হংকং-কে চীনের কাছে ফেরত দেয় যুক্তরাজ্য। তখন থেকে অঞ্চলটি ‘এক দেশ, দুই নীতি’র আওতায় স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা ভোগ করে আসছে। বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হংকংকে ২০৪৭ সাল পর্যন্ত স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দিয়েছে চীন। তবে গত বছর অঞ্চলটিতে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে সেখানে বিতর্কিত ‘হংকং নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়নের উদ্যোগ নেয় বেইজিং। ৩০ জুন সর্বসম্মতভাবে এ সংক্রান্ত বিলে পার্লামেন্টে অনুমোদনের পর সেদিনই এতে স্বাক্ষর করেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। অঞ্চলটির অনেক মানুষ আশঙ্কা করছে, বেইজিংয়ের দ্বারা আরোপিত নতুন নিরাপত্তা আইন হংকংয়ের বিশেষ মর্যাদার অবসান ঘটাবে।

সূত্র : টাইমসনাউ নিউজ।