Home জাতীয় সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে : সেনাপ্রধান

সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে : সেনাপ্রধান

166
0
SHARE

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, মাতৃভূমির অখণ্ডতা রক্ষা তথা জাতীয় যেকোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলাসহ আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে বলে জানান সেনাবাহিনী প্রধান।

আজ বুধবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়টি ইউনিটের ‘রেজিমেন্টাল কালার’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন জেনারেল আজিজ আহমেদ। কুমিল্লা সেনানিবাসে ৩৩ পদাতিক ডিভিশনে এ অনুষ্ঠান হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, কুমিল্লা সেনানিবাসের এম আর চৌধুরী প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনাবাহিনী প্রধান উপস্থিত হলে ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরী তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। প্যারেড কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসিফ আজমিনের নেতৃত্বে ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের একটি সম্মিলিত চৌকষ দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সেনাবাহিনী প্রধানকে জেনারেল সালাম প্রদান করে।

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রচেষ্টা, দেশ ও জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং বিবিধ প্রশিক্ষণ ও অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ একটি ইউনিট বা রেজিমেন্টকে ‘রেজিমেন্টাল কালার’ প্রদান করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২৮ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ১২ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ১০ আর ই ব্যাটালিয়ন এবং ৫ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন আজকের কালার প্যারেডে অংশগ্রহণ করে এবং প্রধান অতিথির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সেনাকর্মকর্তা ও বিভিন্ন পদবির সেনাসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সেনাবাহিনী প্রধান রেজিমেন্টাল কালারপ্রাপ্ত ইউনিটসমূহকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্তি যে কোনো ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান এবং পবিত্র আমানত। তিনি কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্য নিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্ত পতাকার মর্যাদা রক্ষা এবং দেশ মাতৃকার যে কোনো প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ইউনিটসমূহকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা প্রদান করেন।

সেনবাহিনী প্রধান কালার প্যারেডে উপস্থিত সকলের উদ্দেশে বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলাসহ দেশের আর্থ-সামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। একই ধারায় ভবিষ্যতেও মাতৃভূমির অখণ্ডতা রক্ষা তথা জাতীয় যে কোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদাপ্রস্তুত থাকতে হবে।’

জেনারেল আজিজ আহমেদ সেনাবাহিনীর সবাইকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশমাতৃকার যেকোনো প্রয়োজনে এগিয়ে আসতে নির্দেশনা প্রদান করেন।