Home রাজনীতি বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিএনপির হাত ধরে চালু হয়েছে : কাদের

বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিএনপির হাত ধরে চালু হয়েছে : কাদের

176
0
SHARE

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিএনপির হাত ধরেই চালু হয়েছিল। তা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে সরকার। অনিয়ম-দুর্নীতি ও সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কঠোর। নারীর প্রতি অবমাননা ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত করে অধ্যাদেশ জারি করার মধ্য দিয়ে সরকারের কঠোর মনোভাবের প্রতিফলন ঘটেছে।

আজ বুধবার (১৪ অক্টোবর) তার সরকারি বাসভবনে অনলাইন ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে অপরাধীদের রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশয়ের পথও চিরতরে বন্ধ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, সরকার যে কোনো অপরাধ সংগঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। অপরাধী কে, কোন দল করে, কতোটা প্রভাবশালী সেদিকে তাকিয়ে দেখে না। অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে দেখে আইনের আওতায় আনে।

২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে নারী ও শিশু নির্যাতনের রেকর্ড করেছিল উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘তখনকার সময়ে পূর্ণিমা, রহিমা, মাহিমা, ফাহিমাসহ হাজারও নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। বিএনপি তাদের বিচার তো করেইনি, বরং সংখ্যালঘু নির্যাতনের মাত্রা ও ধরন সব রেকর্ড অতিক্রম করেছিল। ২০০৪ সালে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল বিএনপির সময়। তখন তারা বিচার তো করেইনি, উল্টো পদে পদে বিচার বাধাগ্রস্ত করেছিল। একইভাবে তারা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করেছিল ইনডেমনিটি দিয়ে, যেভাবে পরবর্তীতে বন্ধ করেছিল ২০০১-২০০৬ আমলে ঘটে যাওয়া অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের বিচার।’

একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী দেশে-বিদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশ, রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং উদ্দেশ্যমূলক গুজব ছড়াচ্ছে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশবাসীকে এই মতলবি মহলের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে এই মতলবি মহল অপপ্রচার করছে, নষ্ট করছে দেশের ভাবমূর্তি।’

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে ইতোমধ্যেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের অর্থনীতি। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, করোনাকালেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। বাড়ছে রফতানি আয় ও প্রবাসী আয়ও।

ওবায়দুল কাদের দেশের অর্থনীতি করোনার নেতিবাচক প্রভাব থেকে ইতিবাচক ধারায় ফিরছে বলেও মন্তব্য করেন। দেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।