Home আইন আদালত রিফাত হত্যা মামলা : অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির রায় ২৭ অক্টোবর

রিফাত হত্যা মামলা : অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির রায় ২৭ অক্টোবর

130
0
SHARE

বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ২৭ অক্টোবর। আদালতে উপস্থাপিত রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিখন্ডন শেষে এ রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত।

আজ বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে বরগুনা জেলা শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে ৭৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর সকল আসামির পক্ষে-বিপক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বরগুনার নারী ও শিশু আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আজ এই মামলার যুক্তিতর্কের অবশিষ্ট অংশ আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এরপর যুক্তিতর্ক শেষ হলে আদালত আগামী ২৭ অক্টোবর এ মামলার রায়ের দিন ধার্য করেন। একই সঙ্গে এ মামলায় জামিনে থাকা আট আসামিকে নিজ নিজ আইনজীবীর জিম্মায় ফের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।

অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন- রাশিদুল হাসান রিশান ওরফে রিশান ফরাজী, রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার, আবু আবদুল্লাহ ওরফে রায়হান, ওলিউল্লাহ ওরফে অলি, জয় চন্দ্র সরকার ওরফে চন্দন, নাঈম, তানভীর হোসেন, নাজমুল হাসান, রাকিবুল হাসান নিয়ামত, সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ ওরফে মহিবুল্লাহ, মারুফ মল্লিক, প্রিন্স মোল্লা, রাতুল শিকদার জয় ও আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অন্য চারজনকে খালাস দেওয়া হয়। এ রায় ঘোষণা করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন বন্ড ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে রিফাত শরীফকে গুরুতর আহত করেন। এরপর বীরদর্পে অস্ত্র উঁচিয়ে এলাকা ছাড়েন তারা। গুরুতর আহত রিফাত বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই দিনই মারা যান।

ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয় পুলিশ। একই সঙ্গে রিফাত হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।