Home জাতীয় গঠনমূলক বহুপক্ষীয় ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা দেখিয়ে দিয়েছে কোভিড: প্রধানমন্ত্রী

গঠনমূলক বহুপক্ষীয় ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা দেখিয়ে দিয়েছে কোভিড: প্রধানমন্ত্রী

102
0
SHARE

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গঠনমূলক বহুপক্ষীয় ব্যবস্থার প্রয়োজন এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। কারণ কোভিড-১৯ মহামারিটি মনে করিয়ে দিয়েছে যে ‘যতক্ষণ পর্যন্ত প্রত্যেকে নিরাপদ নয় ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ নিরাপদ নন’।

তিনি মঙ্গলবার বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের শিখিয়েছে যে সম্মিলিত পদক্ষেপ, ঐক্য ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাঝে খচিত রয়েছে বৈশ্বিক সমৃদ্ধি।’

প্রধানমন্ত্রী ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত ‘কল ফর অ্যাকশন: ইন সাপোর্ট অব মাল্টিলেটারালিজম’ শীর্ষক এক উচ্চ-পর্যায়ের অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

কোভিড-১৯-এর কারণে বিশ্বব্যাপী সৃষ্ট তুলনাহীন চ্যালেঞ্জের মুখে স্পেন সরকার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বায়নের পৃথিবীতে গঠনমূলক বহুপক্ষীয়তা কোনো বিকল্প বিষয় নয় বরং এটি নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা এবং মানবজাতির সার্বিক অগ্রগতির একমাত্র উপায়।

শেখ হাসিনা বলেন, ইতিহাস প্রমাণ করে যে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস থেকে যে কোনো বিচ্যুতি মানবজাতির জন্য কেবল বিপর্যয়কর প্রভাব বয়ে আনবে।

‘বৈশ্বিক পর্যায়ে বহুপক্ষীয় প্রচেষ্টা না নেয়া হলে বিশ্বব্যাপী পুনরুদ্ধার শুরু হবে না এবং এটি কখনও টেকসই হবে না,’ বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা জানান, কোভিড-১৯ মহামারিতে সৃষ্ট সংকটে জনগণের জীবিকা রক্ষার জন্য তার সরকার এখন পর্যন্ত ১৪.১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করেছে, যা দেশের জিডিপির ৪.৩ শতাংশ। সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে মহামারির প্রভাব সত্ত্বেও বাংলাদেশ জিডিপিতে ৫.২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘কিছু দেশে সুরক্ষাবাদ এবং বিদেশিদের নিয়ে আতঙ্কের সাম্প্রতিক প্রবণতা নিরীহ মানুষদের জন্য আরও ভোগান্তি এনে দিতে এবং শান্তিপূর্ণ বহুপক্ষীয় পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।’

আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক উন্নয়নের জন্য ক্ষতিকারক এসব কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সবাইকে দাঁড়ানো উচিত বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈষম্য হ্রাস, দারিদ্র্য বিমোচন এবং কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে এ গ্রহকে রক্ষা করতে সবাইকে একত্রে কাজ করা এবং তাদের বহুপক্ষীয় প্রচেষ্টা শক্তিশালী করা প্রয়োজন, বলেন শেখ হাসিনা।

স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফেলিপে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সানচেজ, সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লোফভেন, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন।