Home জাতীয় দশম-দ্বাদশে নিয়মিত ক্লাস, বাকিদের সপ্তাহে একদিন

দশম-দ্বাদশে নিয়মিত ক্লাস, বাকিদের সপ্তাহে একদিন

151
0
SHARE

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শুধুমাত্র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস হবে। অন্য সকল শ্রেণিতে পড়ুয়াদের সপ্তাহে একদিন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ক্লাস করতে হবে।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে পরীক্ষা ছাড়া এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের বিধান করতে বিদ্যমান আইন সংশোধনের প্রস্তাব উত্থাপনের সময় এ কথা জানান তিনি।

ডা. দীপু মনি বলেন, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির নিয়মিত ক্লাস হবে। অন্য শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একদিন করে ক্লাসে যাবে। পুরো সপ্তাহের পড়া নিয়ে যাবে। পরের সপ্তাহে আবার একদিন আসবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক। শ্রেণিকক্ষে তাদের গাদাগাদি করে বসতে হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসানো সম্ভব হয় না। তাই সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে না এনে আলাদা আলাদা দিন ক্লাসে আনার ব্যবস্থা করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রস্তুতি নিতে বলেছি। এবার জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির পরামর্শ নেয়া হবে। এরপরই ঘোষণা করব কবে নাগাদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে।’

এর আগে এইচএসসি ফল প্রকাশে আইন পাসের সময় সংসদে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিল তিনটি পাসের পর প্রজ্ঞাপন করতে দুইদিন সময় লাগবে। এরপরই আমরা দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করব।

দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রস্তুত থাকলেও কোভিড-১৯ এর কারণে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বেই একই অবস্থা। আমরা যাদের উন্নত বিশ্ব বলি, আমরা যাদেরকে অনেক সময় ফলো করার চেষ্টা করি, সেসব জায়গাতেও কিন্তু একই পদ্ধতিতে অটোপাসের ফলাফল দেয়া হয়েছে। আমরা হঠাৎ করে কোনো ধরনের চিন্তাভাবনা ছাড়া এ সিদ্ধান্ত নেইনি। এখন পর্যন্ত আমরা শিক্ষার্থীদের, অভিভাবকদের, শিক্ষকদের কোভিড-১৯ সংক্রমণ হওয়ার যে সম্ভাবনা ছিল, তা থেকে দূরে রাখতে পেরেছি। তাদের রক্ষা করার আমাদের যে প্রচেষ্টা ছিল, তা করেছি। আমরা সফল হয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে বলা হয়েছে, মেধাবীরা সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটা ঠিক অনেক সময় হয়তো অনেকে কোনো পাবলিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে না কিন্তু অন্য কোনো একটি পেশায় বা অন্য কোনো জায়গায় হঠাৎ করে অনেক ভালো করে। কিন্তু এটা সব সময় হয় না। মেধাবীদের একটা ধারাবাহিকতা থাকে। আমরা পূর্বের দুটি পাবলিক পরীক্ষা এসএসসি এবং জেএসসি ফলাফলের ভিত্তিতে ফলাফল দেব। কারণ যারা মেধাবী তারা কিন্তু এই দুটি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে। তারা তাদের মেধার স্বাক্ষর রেখে এসেছে। কাজেই শুধু মেধাবীরা কেন, কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।’