Home জাতীয় আত্মমর্যাদা নিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী

আত্মমর্যাদা নিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী

95
0
SHARE

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা বাঙালি, বাংলা আমাদের দেশ। এই বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে, সম্মানের সঙ্গে চলবে। কারও কাছে হাত পেতে নয়, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আত্মমর্যাদা ও সম্মান নিয়ে বিশ্বের বুকে চলব।

আজ শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই অর্জিত হয়েছিল দেশের সব সংগ্রাম ও স্বাধীনতা। তাই আগামী প্রজন্মকে পদকপ্রাপ্ত গুণীদের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে হবে।

তিনি বলেন, আজকের ভাষা দিবসে আপনারা সমাজের বিভিন্ন স্তরে অবদানের জন্য ভাষার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আপনাদের অভিনন্দন জানাই। আপনাদের কাছ থেকে আগামী প্রজন্ম শিক্ষা নিতে পারবে। এটা শুধু আপনাদের সম্মাননা নয়, জাতির জন্য সম্মাননা, দেশের মানুষের জন্য সম্মাননা।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা ভাষা আন্দোলন থেকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে সংগ্রাম করে যান। সেই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা মাকে মা বলে ডাকতে পারি, স্বাধীনতা অর্জন করি।

সরকারপ্রধান বলেন, করোনা মহামারি চলছে। যদিও ভ্যাকসিন আসছে, ভ্যাকসিন দিচ্ছি। এ বিষয়ে আরও গবেষণা চলছে। সে জন্য সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ম মেনে চলার অনুরোধ করছি। অন্তত মাস্ক পরা ও হাত ধোয়ার বিষয়টি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।

এ বছর ২১ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদক দেয়া হয়। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে একুশে পদক তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

ভাষা আন্দোলনে এ বছর মরণোত্তর একুশে পদক পান তিনজন। তারা হলেন- মোতাহের হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার), শামছুল হক ও আফসার উদ্দীন আহমেদ।

মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য পদক পান সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর), গোলাম হাসনায়েন ও ফজলুর রহমান খান ফারুক।

সংগীতে পাপিয়া সারোয়ার, অভিনয়ে রাইসুল ইসলাম আসাদ ও সুজাতা আজিম, নাটকে আহমেদ ইকবাল হায়দার, চলচ্চিত্রে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী, আবৃত্তিতে ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় এবার একুশে পদক পেয়েছেন।

সাংবাদিকতায় অজয় দাশগুপ্ত, আলোকচিত্রে পাভেল রহমান, গবেষণায় সমীর কুমার সাহা, শিক্ষায় মাহফুজা খানম, অর্থনীতিতে মির্জা আব্দুল জলিল, সমাজসেবায় অধ্যাপক কাজী কামরুজ্জামানকেও পদক দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ভাষা ও সাহিত্যে কবি কাজী রোজী ও লেখক-গবেষক গোলাম মুরশিদের পাশাপাশি বুলবুল চৌধুরীও একুশে পদক পান।