Home জাতীয় সম্ভাবনাময় খাত চিহ্নিত করে একযোগে কাজ করতে আগ্রহী নেপাল

সম্ভাবনাময় খাত চিহ্নিত করে একযোগে কাজ করতে আগ্রহী নেপাল

SHARE

সহযোগিতার সম্ভাবনাময় খাতগুলো চিহ্নিত করে তা কাজে লাগাতে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ ও নেপাল। আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে বৈঠকে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং সফররত নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভান্ডারী এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন বাসসকে জানান, দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান যোগ দেয়ায় নেপালের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, তার এ সফর বাংলাদেশ ও নেপালের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য নেপালের সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।

বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বহু সম্ভাবনাময় খাত রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং সরকারি-বেসরকারি সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বৈঠককালে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে স্বাক্ষরিত চারটি সমঝোতা স্মারকের উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা করেন এর ফলে উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট খাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভান্ডারী নারী উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়ন সহ বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
এর আগে নেপালের প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তার পত্নী রাশিদা খানম ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে তাকে স্বাগত জানান।