Home খেলা বড় ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ

বড় ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ

102
0
SHARE

পুরনো রোগ নতুন করে পেয়ে বসেছে। ব্যাটসম্যানরা নিজেদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ, উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচে বোলাররা তাদের সবটুকু দিয়েছেন। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ২০৯ রানে হেরে সিরিজ খোয়াতে হলো বাংলাদেশ দলকে। ফলে কোনো জয় ছাড়াই শেষ হলো বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মিশন।
পাঁচ দিনের ম্যাচের শেষ দিনে জয়ের জন্য টাইগারদের প্রয়োজন ছিল ২৬০ রান, হাতে পাঁচ উইকেট। লিটন দাস ১৪ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ৪ রানে নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে জটিল অঙ্কের হিসেবটা মেলাতে পারলেন না। সুবিধা করতে পারেননি লেজের দিকের ব্যাটসম্যানরাও।

৪৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্কোর বোর্ডে ২২৭ রান তুলে অলআউট টাইগাররা। ২০৯ রানে ম্যাচ হারের সঙ্গে সিরিজটাও হারালেন মুমিনুল হকরা।
২৪২ রানে পিছিয়ে থেকে ফলোঅনে পড়লেও সফরকারীদের তা করায়নি স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেরা ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে করে ১৯৪ রান। ফলে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৩৭ রানের। যা তাড়া করে জিততে ইতিহাস গড়তে হতো বাংলাদেশকে।
শ্রীলঙ্কার দেয়া ৪৩৭ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ম্যাচের চতুর্থ দিনই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ, স্কোরবোর্ডে রান তুলতে পেরেছিল ১৭৭। ফলে শেষদিন জয়ের জন্য বাকি থাকে আরও ২৬০ রান। কিন্তু হাতে উইকেট ছিল ৫টি।
শেষ স্বীকৃত ব্যাটিং জুটি মেহেদি হাসান মিরাজ ও লিটন দাসের কাঁধে ছিল অসাধ্য সাধনের দায়িত্ব। কিন্তু সেই মিশনে শুরুতেই ক্ষান্ত দেন লিটন। দিনের তৃতীয় ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। জয়াবিক্রমের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ৪৬ বলে ১৭ রান করা লিটন। রিভিউ নিয়েও নিজের উইকেট বাঁচাতে পারেননি তিনি।
সপ্তম উইকেট জুটিতে বেশ কিছুক্ষণ খেলেন তাইজুল ইসলাম ও মেহেদি মিরাজ। দুজনের ১১ ওভারের জুটিতে আসে ২৩ রান। ইনিংসের ৬২তম ওভারে দিনে প্রথমবারের মতো বল হাতে নিয়ে জুটি ভাঙেন ধনঞ্জয় ডি সিলভা। খুবই অলস ভঙ্গিতে খেলা শটে কট বিহাইন্ড হন ২ রান করা তাইজুল।
এরপর তাসকিন আহমেদকে নিয়ে দ্রুত রান তোলার দিকে মনোযোগ দেন মিরাজ। বেশ কিছু বাউন্ডারি হাঁকিয়ে এ জুটিতে আসে ২১ রান। ইনিংসের ৭০তম ওভারে তাসকিনের বিদায় ভাঙে অষ্টম উইকেট জুটি। তাসকিন করেন ৩৩ বলে ৭ রান।
পরের ওভারেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। প্রবীণ জয়াবিক্রমের বলে প্যাডেল সুইপ করতে গিয়ে শর্ট লেগে দাঁড়ানো পাথুম নিসাঙ্কার দারুণ বুদ্ধিমতায় ইতি ঘটে মিরাজের ৩৯ রানের ইনিংসের। দুই বল পর লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন আবু জায়েদ রাহি। মাত্র ২২৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ, পরাজয় ২০৯ রানের।
প্রথম ইনিংসে ৬টির পর দ্বিতীয় ইনিংসে জয়াবিক্রমের শিকার ৫ উইকেট। দুই ইনিংস মিলে অর্থাৎ ম্যাচে তার শিকার ১৭৮ রানে ১১ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে ১৩ বছর পর অভিষেক ম্যাচে কোনো বোলার নিলেন ১০ বা এর বেশি উইকেট। এছাড়া বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে এটিই অভিষেক ম্যাচে সেরা বোলিংয়ের বিশ্বরেকর্ড।