Home বিনোদন পরীমনির রিমান্ডের বৈধতার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় ৫ জানুয়ারি

পরীমনির রিমান্ডের বৈধতার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় ৫ জানুয়ারি

61
0
SHARE

উচ্চ আদালতের গাইডলাইন না মেনে মাদক মামলায় জামিনে থাকা চিত্রনায়িকা পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানোর বিষয়ে আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি পুনরায় রায়ের দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে দুই বিচারকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল আলীম মিয়া জুয়েল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান। পরীমনির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও মুজিবুর রহমান।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা দুই বিচারক ব্যাখ্যা দাখিল করেছিলেন। তবে সে ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে না পেরে গত ২৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে পুনরায় ব্যাখ্যা দিতে আদেশ দেন। একই সঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তাকে (কাজী গোলাম মোস্তাফা) ধার্য তারিখের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেছিলেন হাইকোর্ট।

সেই আদেশের ধারাবাহিকতায় ফের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে হাইকোর্টে লিখিত ব্যাখ্যা দেন নিম্ন আদালতের দুই বিচারক। তারা হলেন—ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৫ আগস্ট পরীমনি ও দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। পরে দ্বিতীয় দফায় গত ১০ আগস্ট পরীমনি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। এর পর তৃতীয় দফায় গত ১৯ আগস্ট পরীমনির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম।

পরে গত ২৯ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের রায় না মেনে মাদক মামলায় আটক চিত্রনায়িকা পরীমনিকে বারবার রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের স্ব-প্রণোদিত আদেশ প্রার্থনা করে একটি আবেদন করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন এ আবেদন জানান।

ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুরকারী বিচারকদের ব্যাখ্যা ও সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।