দেশের মর্যাদা বা সম্মান বৃদ্ধি যেমন প্রতিটি নাগরিককে গৌরবান্বিত করে তেমনি সুনাম নষ্ট হলে এর দায়ভার সবার উপর বর্তায় বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ইঞ্জিনিয়ার্স রিক্রিয়েশন সেন্টার-ইআরসি আয়োজিত ১৮তম প্রকৌশলী এম এ জব্বার স্মৃতি টেনিস প্রতিযোগিতা-২০২১ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আমরা যে যে পেশায় থাকি না কেন, আমাদের বড় পরিচয় আমরা বাঙালি। আমার দেশ যতো উন্নত, সমৃদ্ধ ও সম্মানিত হবে, আমি ব্যক্তিগতভাবে সে সম্মানের অংশীদার হবো। পক্ষান্তরে আমার দেশ যদি কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও কলঙ্কিত হয়। দেশের সুনাম নষ্ট হয়, তাহলে এর অংশীদারও আমি হবো। আমরা এর দায়ভার এড়াতে পারি না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন আর ফকির-মিসকিনের দেশ নয়। অবহেলা করার জাতি নয়। বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে আঙ্গুল তুলে বা চোখ রাঙিয়ে কথা বলার সুযোগ নেই। কেউ আঙ্গুল তুলে বা চোখ রাঙ্গিয়ে কথা বললে তার জবাব দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের আছে। দেশ নিজস্ব ক্ষমতার উপর নির্ভরশীল। শেখ হাসিনার জন্য বাঙালি বিশ্বে নতুন পরিচয় লাভ করেছে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই খেলাধুলার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন। যার ফলে ক্রিকেট-ফুটবলসহ সব খেলায় অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। যে ক্রিকেট খেলায় বাংলাদেশের নাম ছিলো না, সেই দেশ এখন ক্রিকেট পরাশক্তিদের অনায়াসে পরাজিত করছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের জন্য অর্থনৈতিক ও সেবাখাত, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য এবং তথ্য প্রযুক্তিকে যেমন গুরুত্ব দিয়েছেন, তেমনি খেলাধুলাতেও বিশেষ নজর দিয়েছেন। সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গৌরবোজ্জ্বল স্থান করে নিয়েছে। দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কোনো খাতকে অবহেলা করেননি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সম্পদ এদেশের মানুষ। এই সম্পদ ও শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আর তার কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তার স্বপ্ন পূরণে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অব্যাহত রাখার বিকল্প নেই।
অভিভাবকদের উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, ছেলে মেয়েদের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পাঠিয়ে দায়িত্ব শেষ হবে না। তাদেরকে আগামী দিনের মানব সম্পদে রূপান্তরিত করতে হবে। এজন্য খেলাধুলা, শারীরিক কসরতসহ মানসিক এবং সৃজনশীল চিন্তা চেতনার বিকাশ ঘটিয়ে সামাজিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা করতে হবে। খেলাধুলা মানসিক বিকাশ ঘটায়। মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরসির নির্বাহী ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের বর্তমান সভাপতি প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদা এবং সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহাদৎ হোসেন (শীবলু)। পরে মন্ত্রী বিজয়ী খেলোয়াড়দের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।