Home আন্তর্জাতিক বিশ্বজুড়ে একদিনে ৩১ লক্ষাধিক আক্রান্ত, মৃত্যু সাড়ে ৭ হাজার

বিশ্বজুড়ে একদিনে ৩১ লক্ষাধিক আক্রান্ত, মৃত্যু সাড়ে ৭ হাজার

68
0
SHARE

করোনাভাইরাসের সবচেয়ে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানো ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে আরো ৩১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯৯ জন এবং এ সময় মারা গেছে ৭ হাজার ৬২৫ জন এবং সুস্থ হয়েছে ১১ লাখ ৭৩ হাজার ২৭৮ জন।

শনিবার, ১৫ জানুয়ারি করোনায় বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স এর তথ্য থেকে জানা যায়, বরাবরের মতো গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যু ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এসময়ে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৪ হাজার ৮৭৭ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ২ হাজার ১৩৯ জন।

এ ছাড়াও বিশ্বের যেসব দেশে এই সময়ে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেশি দেখা গেছে, সেগুলো হলো- ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ৩ লাখ ২৯ হাজার ৩৭১, মৃত্যু ১৯১), ভারত (নতুন আক্রান্ত ২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৫, মৃত্যু ৪৩০), ইতালি (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৮৬ হাজার ২৫৩, মৃত্যু ৩৬০), স্পেন (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৬২ হাজার ৫০৮, মৃত্যু ১৩৯), আর্জেন্টিনা (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৩৯ হাজার ৮৫৩, মৃত্যু ৯৩) এবং যুক্তরাজ্য (নতুন আক্রান্ত ৯৯ হাজার ৬৫২, মৃত্যু ২৭০)।

বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ কোটি ৪০ লাখ ৫২ হাজার ২৮০ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৫৫ লাখ ৪৬ হাজার ৭৪১ জন। করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ কোটি ৩২ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ৫ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ৯৯৫ জন এবং গুরুতর অসুস্থ আছেন ৯৬ হাজার ১০২ জন।

এছাড়া এই দিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ১১ লাখ ৪১ হাজার ৩২৮ জন। এর মধ্যে দিয়ে বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের মোট সংখ্যা হয়েছে ২৬ কোটি ৫২ লাখ ৫৮ হাজার ৪৪২ জনে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে। তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ সংস্থাটি করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে।