বর্তমান প্রজন্মের কাছে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার জীবন ও কর্ম অনুকরণীয় বলে জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, জাতি গঠনে তার অবদানগুলো সবার কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম তার মতো জীবন গঠনে উৎসাহ পাবে। তার মতো দক্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী দেশের উন্নয়নে অত্যন্ত প্রয়োজন।
সোমবার (৯ এপ্রিল) রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া অত্যন্ত সৎ ও কঠিন ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। আত্মমর্যাদায় বলীয়ান হয়ে মেধা ও দক্ষতা দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র পর্যন্ত তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন।
তিনি বলেন, পীরগঞ্জে জন্মগ্রহণকারী এই মহান ব্যক্তির কাছ থেকে নতুন প্রজন্মের অনেক কিছু শেখার আছে। বিশেষায়িত ক্ষেত্রে তিনি অসামান্য অবদান রেখে গেছেন এবং তার লেখা বইও প্রকাশিত হয়েছে। অনেক গবেষণা কাজের সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। দেশের বাইরে বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি অধ্যাপনা ও গবেষণা করেছেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা হোসেন আজ মেধার স্বাক্ষর রেখে কাজ করে চলেছেন। সায়মা হোসেন সারাবিশ্বে অটিজমজনিত জটিলতা সমাধানকল্পে কাজ করছেন এবং সজীব ওয়াজেদ জয় একজন বিশ্বখ্যাত আইটি বিশেষজ্ঞ, যিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার হিসেবে কাজ করছেন।
পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিরোদা রানী রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এ এস এম তাজিমুল ইসলাম শামীম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন রাজা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাহিদুল ইসলাম পিন্টু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।