Home খেলা বিশ্বকাপে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য ৩৮৫২ কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি

বিশ্বকাপে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য ৩৮৫২ কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি

SHARE

২০২২ কাতার বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম নির্মাণের সময় বিদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছিল দেশটির কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে, সে সব সংবাদ অনেকবারই উঠে এসেছিল মিডিয়ায়। অনেক শ্রমিক প্রাণ পর্যন্ত দিয়েছেন কাতার বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে গিয়ে। অমানবিক আচরণ করা হয়েছিল তাদের সঙ্গে।

এবার সেই অমানবিক আচরণের ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে খোদ ফিফার কাছে। দাবি তুলেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ আরও বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠন।

ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনোর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই দাবি করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত বিদেশি শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৪৪০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৩ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা) বরাদ্দ করার জন্য ফিফার কাছে আহ্বান জানানো হয়।

ফিফা সভাপতির কাছে পাঠানো চিঠিতে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলেছে, ফিফার উচিৎ ভবিষ্যতে আয়োজক দেশের সঙ্গে বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে ফিফারও অংশগ্রহণ করা। যাতে করে বিদেশি শ্রমিদের মানবাধিকার সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘২০১০ সালে ফিফা যখন কাতারকে ২০২২ সালে বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে কাতারকে নির্বাচন করলো, তখন থেকেই নির্মাণ কাজ শুরু করে কাতার এবং তখন থেকেই তারা বিদেশি শ্রমিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘণ করে আসছিল। অথচ, ফিফা কাতারে শ্রমিকদের রক্ষায় কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল সে সবের কোনো খোঁজ-খবর পর্যন্ত নেয়নি। ফিফা নামক যে সংস্থাটি রয়েছে, তাদের অবশ্যই উচিৎ বিশ্বকাপের প্রাইজমানি থেকে ৪৪০ মিলিয়ন ডলার এসব ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ দেয়া।’

কাতার সরকার বলছে, তাদের লেবার সিস্টেমে বেশ ভালোই অগ্রগতি হয়েছে। তবে তারা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এর আগে করা অভিযোগকে অস্বীকার করেছে। অ্যামনেস্টি তাদের আগের রিপোর্টে বলেছে, কাতার বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম নির্মাণের সময় সহস্রাধিক বিদেশি শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ এবং দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ফিফাও জবাব দিয়েছে। জবাবে তারা বলেছে, যে সব অভিযোগ উঠেছে, তারা এসবের তদন্ত করবে। পর্যালোচনা করবে এবং যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে ক্ষতিপূরণ দেয়ার একটা পথ বের করে নেবে তারা। ফিফা বলেছে, ‘যতগুলো অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার সবই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি পর্বের সঙ্গে সম্পর্কিত।’

তারা আরও জানিয়েছে, এসব নিয়ে কাজ করছে আয়োজকদের একটি সাংগঠনিক কমিটি এবং এরই মধ্যে অনেককেই ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।