Home জাতীয় শেষ ১০ মিনিটের চমকে বাড়লো সূচক, ক্রেতা সংকটে ৪০ প্রতিষ্ঠান

শেষ ১০ মিনিটের চমকে বাড়লো সূচক, ক্রেতা সংকটে ৪০ প্রতিষ্ঠান

41
0
SHARE

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ব্যাপক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। সূচকের এই উত্থান তো পরক্ষণেই পতন। লেনদেনের পুরো সময়জুড়েই দেখা গেছে এমন চিত্র। তবে শেষ ১০ মিনিটের লেনদেনের ওপর ভর করে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক দিন শেষে ঊর্ধ্বমুখী থেকেছে।

প্রধান মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনের অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এমনকি দাম কমার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে ৪০টি প্রতিষ্ঠান। এরপরও দিনের লেনদেনের বেশিরভাগ সময় এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য পড়ে ছিল। প্রায় অর্ধশত প্রতিষ্ঠানের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ায় লেনদেনের পরিমাণও কমেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেন অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। একইসঙ্গে এই বাজারটিতে কমেছে সবকয়টি মূল্যসূচক। পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। এতে লেনদেনের ১৩ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ২১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের এক ঘণ্টা ১২ মিনিটের মাথায় ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সূচক।

এরপর আবার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়তে থাকে। এতে লেনদেনের দুই ঘণ্টার মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ১৯ পয়েন্ট। অবশ্য এ দফাতেও সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেশি সময় স্থায়ী থাকেনি। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যাওয়ার কারণে দুপুর ২টায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট কমে যায়।

এ সময় অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে। দিনের সর্বনিম্ন দামে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তবে লেনদেনের শেষ ১০ মিনিটে কিছু প্রতিষ্ঠানের ক্রেতা ফিরে আসে। এতে পতন কাটিয়ে প্রধান মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়। অবশ্য এরপরও ৪০ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য পড়ে থাকে।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় চার পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ৩৯২ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ৫৫ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৩৫০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় দুই পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৪০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৩৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৬টির। আর ৪৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৩৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকার। আগের দিন লেনদেন হয় ৮৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকার। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১৯৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

এদিন ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৫১ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার ২৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফু-ওয়াং ফুড।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- জিএসপি ফাইন্যান্স, বেক্সিমকো ফার্মা, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, এসিআই ফরমুলেশন, জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, আইপিডিসি ফাইন্যান্স এবং জেনেক্স ইনফোসিস।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৫৭ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২৭৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬২টির এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।