Home জাতীয় ভালো দেখলে ভালো লাগে না এমন একটা শ্রেণি সমাজে আছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ভালো দেখলে ভালো লাগে না এমন একটা শ্রেণি সমাজে আছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

43
0
SHARE

মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, একটা মহল আছে যারা এদেশের ভালো দেখলে ভালো লাগে না। তারা প্রথমে বলেছে পদ্মা সেতু হবে না। তারপর পদ্মাসেতু হয়ে গেলে তারা বলে এটা জোড়াতালি দিয়ে করা হয়েছে, এটাতে রিস্ক আছে। সেটাতেও সুবিধা না পেয়ে তারা বলে এটার পেছনে অনেক টাকা গেছে। আবার বলে এটা কোনো দরকার ছিল না। ভালো দেখলে ভালো লাগে না এমন একটা শ্রেণি এ সমাজে আছে, এরা থাকবে। এর ভেতরেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। নিন্দুকেরা নিন্দা করে যাবে। আমাদের তার ভেতর থেকেই কাজ করে যেতে হবে।

বুধবার বেলা ১২টায় গাজীপুরের শ্রীপুরে রাজাবাড়ি এলাকায় এসিআই’র বিশেষায়িত জেনেটিক্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদের উৎপাদন এতো হয়েছে যে আগামী কোরবানিতে ভারত-মায়ানমার বা অন্যকোনো দেশ থেকে পশু আমদানির প্রয়োজন হবে না। আমাদের দেশের পশুই কোরবানির জন্য যথেষ্ট। এদিক থেকে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। গত কোরবানিতেও যে পরিমাণ পশু বিক্রির জন্য বাজারে নেয়া হয়েছে, সেখানে বরং উদ্বৃত্ত হয়েছে। ফলে এ গর্বের জায়াগাটিকে আমরা কোনোভাবেই নষ্ট হতে দেব না। কালোবাজারি করেও যাতে দেশে পশু না আসতে পারে এজন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে পারি কোরবানির পশু নিয়ে সংশয়ের কোনো কারণ নেই। দেশের পশুই কোরবানির জন্য এখন যথেষ্ট।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় এসে উন্নয়নের সমতার দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এ কৃষি যদি না থাকে, কৃষির বিস্তার না হয় তা হলে আমাদের দেশ থমকে যাবে। আমাদের খাবারের প্রধান যোগান চাল, গম, ভুট্টার বাইরেও মাছ, মাংস, দুধ, ডিম এগুলো। এগুলো একদিকে আমাদের খাবারের চাহিদা মেটায়, অপরদিকে পুষ্টির চাহিদা মেটায়। এক সময় দেশে আকাল থাকলে এখন এ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসায় আজ বাংলাদেশ মাছ, মাংস ও ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। আমরা অদূর ভবিষ্যতে দুধেও স্বয়সম্পূর্ণতা অর্জন করবো।

মন্ত্রী বলেন, গরু, ছাগল, ভেড়া, মুরগি, হাঁস পালন করলে কাউকে চাকরির জন্য আর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে না। দেশের বেকারদের স্বাবলম্বী হতে সরকার কাজ করছে। খামারিদের ব্যাপারে আমরা উন্মুক্ত, তাদের যে সহযোগিতা লাগে তা আমরা করছি। করোনার সময় খামারিদের উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রি করতে পারছিলেন না। আমরা ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমরা চাচ্ছি প্রাণি খাদ্য, মাছের খাদ্য এ দেশেই উৎপাদিত হোক। এজন্য তিনি বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

দুধ ও মাংসের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্য সামনে রেখে গাজীপুরের রাজাবাড়িতে বিস্তৃত পরিসরে গড়ে তোলা হয়েছে এসিআই লিমিটেডের বিশেষায়িত জেনেটিক্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার। এসিআই’র বিশেষায়িত জেনেটিক্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিমেন সংগ্রহ ও প্রসেসিং করা হচ্ছে যা “এসিআই সিমেন” নামে দেশব্যাপী পৌঁছে যাচ্ছে খামারির কাছে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা পুলিশের কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা ইয়াসমিন, শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির হিমু ও গাজীপুর জেলা ডেইরি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম শাহিন ও এসিআই’র এগ্রো বিজনেস’র প্রেসিডেন্ট ড. এফএইচ আনসারী।