Home জাতীয় টেলিটকের তারেক রহমানকে ধরতে ইন্টারপোলে যাওয়ার নির্দেশ

টেলিটকের তারেক রহমানকে ধরতে ইন্টারপোলে যাওয়ার নির্দেশ

SHARE

প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের দায়ে দণ্ডিত মোবাইল সেবাদানকারী রাষ্ট্রায়ত্ত কম্পানি টেলিটকের সাবেক কর্মকর্তা এস এম তারেক রহমানকে ধরতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্রসচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ মামলায় খালাস ও দণ্ডের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন –দুদক ও দণ্ডিত মো. সাবিবুর রহমানের আপিল শুনানির সময় তারেক রহমানের পলাতক থাকার বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। তখন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আপিলের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন, আইনজীবী এ কে এম নুরুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী ১৬ অক্টোবর এ বিষয়ে পরবর্তী তারিখ রেখেছেন। এ সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে স্বরাষ্ট্রসচিব ও আইজিপিকে আদালতে হলফনামা দিতে বলা হয়েছে। ’

দুদকের আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক বলেন, ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় বিচারিক আদলত এস এম তারেক রহমানকে ৫ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩ কোটি টাকা জরিমানা করেন। সে কানাডায় পলাতক বলে জানতে পেরেছি। ‘

টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক (সিস্টেম অপারেশন) এস এম তারেক রহমান ও সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক (মার্কেট ডেভেলপমেন্ট) সাবিবুর রহমান ওরফে শিপলু ২০১০ সালের অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে প্রি-পেইড মোবাইলকে পোস্ট-পেইডে রূপান্তর করে বিলিং সিস্টেমের বাইরে রেখে ৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৫ হাজার ৩০৬ টাকা আত্মসাৎ করেন।

এই অর্থ তাঁরা পাচার করেছেন বলে সন্দেহ করা হয়। দুদকের অনুসন্ধানে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কমিশন ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৯-এর ৪(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২-এর ৪(২) ও (৩) ধারায় মামলা করার অনুমোদন দেয়। অভিযোগপত্র দেওয়ার পর মামলার বিচার শুরু হলে আদালত টেলিটকের উপমহাব্যবস্থাপক মো. আবুল কালামের সংশ্লিষ্টতা পায়। তখন দুদকের আবেদনে তাকেও আসামি করা হয়।

বিচার শেষে ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ ২০১৯ সালের ৬ মে মামলার রায় দেন। রায়ে বিচারিক আদালত এস এম তারেক রহমানকে পাঁচ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের সঙ্গে তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ডের সঙ্গে সাবিবুর রহমানকে এক কোটি টাকা জরিমানা করেন আদালত। আর আবুল কালামকে খালাস দেওয়া হয়। বিচারিক আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন দণ্ডিত সাবিবুর। আর আবুল কালামের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। রবিবার সেসব আপিলের শুনানির সময়ই তারেক রহমানের পলাতক থাকার বিষয়টি নজরে আসে হাইকোর্টের।