Home জাতীয় ১২ বছরে ৪০০ কোটি ৫৪ লাখ বই দিয়েছে সরকার

১২ বছরে ৪০০ কোটি ৫৪ লাখ বই দিয়েছে সরকার

58
0
SHARE

২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার বিনা মূল্যে বই বিতরণের কর্মসূচি হাতে নয়। এর মধ্যে কেটে গেছে ১২ বছর। এই সময়ে অর্থাৎ ২০১০-২০২২ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত মোট ৪০০ কোটি ৫৪ লাখ ৬৭ হাজার ৯১১ কপি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করেছে সরকার।

আজ বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাণীতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০২২ পর্যন্ত মোট ৪০০ কোটি ৫৪ লাখ ৬৭ হাজার ৯১১ কপি পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। বই বিতরণের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মেধাবৃত্তি, উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। উচ্চশিক্ষার সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বহুলাংশে বাড়ানো হয়েছে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সরকারের গত সাড়ে ১৩ বছরে বিভিন্ন সময়োপযোগী কর্মসূচি নেওয়া এবং বাস্তবায়নের ফলে শিক্ষা খাতে প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। শিক্ষার হার ২০০৭ সালের ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ থেকে বেড়ে বর্তমানে ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ’

‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২২’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ট্রান্সফরমিং লিটারেসি লার্নিং স্পেসেস’ সময়োপযোগী হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিল জানিয়ে বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সব ছাত্র-ছাত্রীকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন জাতির পিতা। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সীমিত আর্থিক সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তিনি ৩৬ হাজার ১৬৫টি স্কুলকে জাতীয়করণ করার মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সরকার শিক্ষার সুযোগবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরজ্ঞান দেওয়া, জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিকরণ এবং কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উক্ত জনগোষ্ঠীর জীবিকায়ন নিশ্চিত করতে ‘উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন ২০১৪’ প্রণয়ন করেছে।

‘৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশু যারা আগে কখনও স্কুলে যায়নি বা স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে এবং শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ১৫ বছর বা এর বেশি বয়সী নারী-পুরুষদের চাহিদাভিত্তিক জীবন ও জীবিকায়ন-দক্ষতা অর্জন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। আমাদের সরকারের নেওয়া কার্যক্রমের ফলস্বরূপ একদিকে স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির হার বেড়েছে, শিক্ষাক্রম থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমেছে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষা সমাপ্তির হারও বাড়ছে। ’

সরকার প্রধান বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রভাব কাটিয়ে শিক্ষার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে আমরা প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব বিবেচনা করে, বিশেষ করে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কথা মাথায় রেখে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষা কার্যক্রমে আইসিটি এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। করোনার মধ্যে অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও অনলাইন, সংসদ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘আশা করি সবার ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় শতভাগ সাক্ষরতা অর্জন এবং শিক্ষার গুণগতমান ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব হবে।