Home জাতীয় আওয়ামী লীগের পতন ঘটানোর মতো শক্তি নেই : প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের পতন ঘটানোর মতো শক্তি নেই : প্রধানমন্ত্রী

29
0
SHARE

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক গভীরে, এই সরকারের পতন ঘটাতে পারে এমন শক্তি দেশে নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে সংসদ নেতা এসব কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এক-এগারো পরিস্থিতি তুলে ধরে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে এক-এগারোর মতো কোনো পরিস্থিতি নেই। আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা রাখতে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক গভীরে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কারও পকেট থেকে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়নি। আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া, জিয়া, এরশাদসহ অনেকেই চেষ্টা করছেন আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে। কিন্তু পারেননি। এখনও কেউ পারবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ টানা ১৪ বছর ক্ষমতায়। ১৪ বছর আগের বাংলাদেশ কী ছিল সেটা যদি মানুষ একটু স্মরণ করে। পঁচাত্তরপরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ কোথায় ছিল? অর্থনৈতিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে, ভোটের ক্ষেত্রে, নির্বাচনের ক্ষেত্রে। সিল মেরে বাক্স ভরে ফেলা..ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের যেতে না দেওয়া। হ্যাঁ, না বাক্সের হ্যাঁ’র বাক্স আছে, না’র বাক্স নেই। ভোট দিতে গিয়েছে কেউ ধানের শীষে, না দিলে ওটা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। আবার নেওয়া হয়েছে।’
সেই সময়ের নির্বাচনপদ্ধতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘১০টা হুন্ডা, ২০টা গুন্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা- এরকম কথাই তো ছিল। এরকম নির্বাচন ছিল। এখন তো তা নাই। তারপরও প্রশ্ন তোলে কারা? যারা নির্বাচনকে কলুষিত করেছে, ধ্বংস করেছে, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে তারাই প্রশ্ন তোলে। তাদের প্রশ্ন তোলার কি অধিকার আছে?’
বিএনপি-জামায়াতের চলমান আন্দোলনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘নানা অপকর্মের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত সরকার হঠানোর অপচেষ্টা করছে। তবে তবে জনগণ এতে সাড়া দিচ্ছে না।’
এক প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, ‘যারা মজুদকারী, কালোবাজারি এবং যারা এলসি খোলা নিয়ে দুই নম্বরি করবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং নেব। প্রয়োজনে আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা নেব। মানুষের কষ্ট যেন না হয় সেদিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দেব।’
সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে মূল্যস্ফীতির প্রভাব হ্রাস পাওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এ কারণে রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে জ্বালানি তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের আন্তর্জাতিক বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারকে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশেও জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করতে হয়েছে। মূল্যস্ফীতির চাপ সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এবং গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রাকে স্বাভাবিক ও সচল রাখতে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছি।