গত মে মাসে সেনাবাহিনীর ভবনে হামলা চালায় ইমরান খানের সমর্থকরা। এতে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের অনুমতি দিয়েছেন। যদিও তিনি তোশাখানা মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। খবর আল জাজিরা
৭০ বছর বয়সী ইমরান খান জেলে যাওয়ার আগে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তখন তিনি বলেন, সরকার টার্গেট করে তাকে জেলে পাঠাচ্ছে। যাতে আগামী নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে না পারেন।
গতকাল বুধবার লাহোরের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের অনুমতি প্রদান করে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জিন্নাত’র বাসভবনে হামলার চালানোর কারণ জিজ্ঞাসা করতে চাইলে আদালত তাকে অনুমতি প্রদান করে।
গত ৯ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজিরা দিতে গেলে সেখান থেকে ইমরান খানতে আটক করে আধাসামরিক বাহিনী। এরপরই তার দলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। আগুন ধরিয়ে দেয় সেনাবাহিনীর স্থাপনাতেও।
সেনাবাহিনীর আবাসিক এলাকায় প্রবেশ করে বিক্ষোভকারীরা বেশ কিছু স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় পর ইমরান খানের দলের প্রায় ১০০ নেতাকর্মকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী বুশরা বেগম এবং তাকে বিদেশী সরকার অনেক পুরস্কার দেয়। কিন্তু সে পুরস্কার তিনি তোশাখানায় জমা রাখেননি। ফলে এ মমলায় তাকে গ্রেপ্তার করার পর জিজ্ঞাসাবাদের আগেই নতুন করে লাহোরের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত ওই মামলার রায় দিয়েছে।
Advertisement
এদিকে তোশাখানা মামলায় ইসলামাবাদের হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে রিভিউ করার আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। কারণ এ রায়ে অনেক ত্রুটি রয়েছে।
ইমরান খানকে কারাগারে নেওয়ার কিছুদিন পরই তাকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। পাকিস্তানে চলতি বছরের নভেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে সীমান্ত পুননির্ধারণের কারণে এ বছর নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয়।