Home আন্তর্জাতিক দ. কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইওলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা তদন্তকারীদের

দ. কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইওলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা তদন্তকারীদের

SHARE

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে গ্রেপ্তারে তার বাসভবনে পৌঁছে গেছে দেশটির তদন্তকারীরা। ইউনের পক্ষে বাইরে জড়ো হওয়া জনতাকে পাশ কাটিয়ে তারা ভেতরে প্রবেশ করেন। তবে ভেতরে রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা বাহিনীর মুখোমুখি হন।

প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তাদল প্রেসিডেনশিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস (পিএসএস) গ্রেপ্তার প্রক্রিয়ায় বাধা দেবে কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। আগে ইউনের অফিস এবং অফিশিয়াল বাসভবনে অনুসন্ধান পরোয়ানা দিয়ে তদন্তকারীদের প্রবেশে বাধা দিয়েছিল পিএসএস।

ইওল গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করার চেষ্টা করে অভিশংসিত হন। দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে তাকে অভিশংসন এবং ক্ষমতা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
তিনি এ ঘটনার জন্য বর্তমানে ফৌজদারি তদন্তের অধীনে রয়েছেন। সামরিক আইন জারির প্রচেষ্টাটি এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি এবং এই অঞ্চলের সবচেয়ে প্রাণবন্ত গণতান্ত্রিক দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণকে হতবাক করেছিল। দক্ষিণ কোরিয়ায় কোনো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এটিই ছিল প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।

উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্তের দায়িত্বে থাকা দ্য করাপশন ইনভেস্টিগেশন অফিস ফর দ্য হাই-র‌্যাঙ্কিং অফিশিয়ালস (সিআইও) কর্মকর্তারা ইওলকে গ্রেপ্তারে তদন্তকারীদের একটি যৌথ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তারা জানান,
স্থানীয় সময় সকাল ৭টার কিছুক্ষণ পরেই ইওলের কম্পাউন্ডের গেটে পৌঁছায় দলটি।

সিআইও-এর যানবাহনগুলো কম্পাউন্ডের ভেতেরে প্রবেশ করতে পারেনি। কিছু সিআইও কর্মকর্তা পরে একটি খোলা গেট দিয়ে হেঁটে ভেতরে প্রবেশ করেন। মিডিয়া জানিয়েছে, কম্পাউন্ডের ভেতরে সিআইও এবং তাদের সঙ্গে থাকা পিএসএস-কর্মীদের মুখোমুখি হয়।

এর আগে দেশটির বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ সিআইওকে উদ্ধৃত করে বলেছিল, বর্তমান এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এবং এটি প্রয়োগ করা হলে ইউনকে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে আটক রাখা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে ইউনের আইনজীবী শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইওলের বিরুদ্ধে অবৈধ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করা বেআইনি এবং তারা এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন, তবে বিস্তারিত কিছু বলেননি। বিক্ষোভকারীরাও বাসভবনের কাছে ভোরবেলা জড়ো হয়। মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, শত শত মানুষ জড়ো হয়েছে। তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ শিগগির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার চেষ্টা করবে।

সূত্র : রয়টার্স