Home আন্তর্জাতিক যুক্তরাষ্ট্রের ওপর কানাডার ‘ট্রাম্প কর’ আরোপের হুমকি

যুক্তরাষ্ট্রের ওপর কানাডার ‘ট্রাম্প কর’ আরোপের হুমকি

SHARE

নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট কানাডিয়ান পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করলে আমেরিকানরা ‘ট্রাম্প ট্যারিফস ট্যাক্স’-এর ধাক্কা খাবে, স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই মন্তব্য করেছেন। এ ছাড়া তিনি যেকোনো বাণিজ্য যুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

নবনির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি তার অর্থনৈতিক ও বৈদেশিক নীতি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কানাডার আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন। এ ছাড়া মেক্সিকো, চীন এবং অন্যান্য বাণিজ্য অংশীদারদের ওপরও এই শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।

নিউইয়র্কে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেন, ‘এটি কয়েক দশকের মধ্যে কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সবচেয়ে বড় বাণিজ্য যুদ্ধ হবে। আমেরিকানরা আমাদের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করবে। আমরা সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করতে প্রস্তুত।’

তিনি ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ট্রাম্প যদি তার হুমকি বাস্তবায়ন করেন তবে কানাডা একাধিক পদক্ষেপ প্রস্তুত রেখেছে, যা কানাডিয়ান ভোক্তা এবং কর্মসংস্থানের ওপর বড় প্রভাব ফেলবে।

একটি সরকারি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, অটোয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের কথা বিবেচনা করছে। যার মধ্যে রয়েছে ইস্পাত পণ্য, টয়লেট এবং সিঙ্কের মতো সিরামিক, কাচের পাত্র, কমলার জুস। শুল্কের প্রথম ধাক্কা এসব পণ্যের ওপর পড়বে।

বিদায়ি প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ‘কানাডা এবং কানাডিয়ানদের প্রতিরক্ষায় আমরা দৃঢ় এবং দ্ব্যর্থহীন থাকব।
’ তিনি আরো বলেন, ‘প্রস্তাবিত শুল্ক আমেরিকান চাকরিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে, আমেরিকান ভোক্তাদের জন্য দাম বাড়িয়ে দেবে, আমাদের যৌথ নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে এবং সমগ্র মহাদেশজুড়ে খরচ বাড়বে।’

স্কটিয়াব্যাংকের একটি দৃশ্যকল্প থেকে জানা যাচ্ছে, বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে কানাডার জিডিপি পাঁচ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেতে পারে, বেকারত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে এবং মুদ্রাস্ফীতিও বৃদ্ধি পেতে পারে।

সূত্র : এএফপি