বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলার কথা স্বীকার করেছে হামলাকারী। তদন্তকারীদের দাবি, টানা জেরায় কার্যত ভেঙে পড়েন হামলাকারী শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। নিজে এই কাজ করেছে বলে স্বীকারও করেন। শেহজাদকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে টানা জেরা করছে বান্দ্রা থানার পুলিশ।
গত ১৬ জানুয়ারি, রাত ১টা ৩৭ মিনিট নাগাদ অভিনেতার বাড়িতে ঢোকে হামলাকারী। হামলার পর থেকেই গা ঢাকা দেয়। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে একাধিকবার নামবদল করে। অবশেষে গোপনসূত্রে পুলিশ খবর পায় ‘ছোটো নবাবে’র বান্দ্রার বাড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে থানের হীরানন্দানি এস্টেটের কাসারভাদাভালিতে রয়েছে মহম্মদ সরিফুল ইসলাম শেহজাদ।
একজন ঠিকাদারের মাধ্যমে জানা যায় জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়েছে। তাৎক্ষনিক অন্তত ১০০ জন পুলিশকর্মী সেখানে পৌঁছায়। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে প্রায় ঘণ্টাখানেক তল্লাশি চালানো হয়। তারপর গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
রবিবারই তাকে মুম্বাই আদালতে পেশ করা হয়।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশি জেরার মুখে শেষ পর্যন্ত নিজের অপরাধ স্বীকার করেন আটক শেহজাদ। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমিই করেছি।’ আপাতত ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে রয়েছে অভিযুক্ত।
তদন্তকারীদের দাবি, হামলাকারী ভারতীয় নয়।
বাংলাদেশের নাগরিক। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা বেশ কিছু নথিপত্র কমপক্ষে তেমনই ইঙ্গিত করে। জানা গিয়েছে, ৪-৫ মাস আগে নিজেকে বিজয় দাস নামে পরিচয় দিয়ে মুম্বাইয়ে থাকতে শুরু করে।
এদিকে, আটক শেহজাদের বাবার সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশের সংবাদকর্মীরা। বিষয়টি শুনে শেহজাদের বাবা রুহুল আমিন ফকির বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে শেহজাদের কোনো যোগাযোগ নেই। শুনেছি সে ভারতে আটক হয়েছে। সে কবে, কিভাবে ভারত গেছে তা আমাদের জানা নেই। খারাপ কাজ করলে, সে শাস্তি পাবে, এটাই কামনা করছি।’
জানা গেছে, শেহজাদ নলছিটি থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি। হত্যা মামলার পর তিনি এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে ছিলেন। পরিবারের সঙ্গেও তার কোনো যোগাযোগ ছিল না। এলাকায় তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন।