Home জাতীয় ৯ গোলের ম্যাচে জয় নির্ধারিত হয়েছে যোগ করা সময়ে। পেনাল্টি, আত্মঘাতি গোল,...

৯ গোলের ম্যাচে জয় নির্ধারিত হয়েছে যোগ করা সময়ে। পেনাল্টি, আত্মঘাতি গোল, লাল কার্ডের মহানাটকীয় ম্যাচটি বার্সেলোনা জিতেছে ৫–৪ ব্যবধানে। অথচ ম্যাচের শুরুর চিত্র ছিল ভিন্ন। শুরুর ৩০ মিনিটে ভাঙ্গেলিস পাভলিদিসের হ্যাটট্রিকে ৩–১ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বেনফিকাই। একসময় মনে হচ্ছিল বার্সেলোনার বিপক্ষে স্মরণীয় এক জয়ই পেতে যাচ্ছে পর্তুগিজ ক্লাবটি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে রূপকথার গল্প লিখে ঘুরে দাঁড়ায় বার্সেলোনা। ৬৪ মিনিটে রাফিনিয়া ৩-২ করার মিনিট চারেক পর আত্নঘাতী গোলে আবারও পিছিয়ে পড়ে বার্সা। এর পরই মূলত ঘুরে দাঁড়ায় কাতালানরা। ৭৮ মিনিটে লামিনে ইয়ামালের আদায় করা পেনাল্টি থেকে গোল করে বার্সাকে ম্যাচে ফেরান লেভানদোস্কি। ৮৬তম মিনিটে এরিক র্সিয়া সমতা টানার পর রাফিনিয়ার শেষের জাদু-বেনফিকা ৪–৫ বার্সেলোনা। জয়সূচক গোল করে ম্যাচ শেষে রাফিনহা মুভিস্টারকে বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি একটি কঠিন ম্যাচ হবে। আমি জানি তাদের মাঠে বেনফিকার বিরুদ্ধে খেলাটা কতটা কঠিন। তাদের খেলোয়াড়রা অত্যন্ত উচ্চমানের। তবে আমরা ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও হাল ছাড়িনি। এটি একটি দুর্দান্ত ম্যাচ ছিল। এখানে যেকোনো দলই জিততে পারত।’ ম্যাচ জয়ের পর বার্সেলোনার কোচ ফ্লিক বলেছেন, ‘পাগলাটে ম্যাচ ছিল। সবচেয়ে পজিটিভ দিক ছিল আমাদের মানসিকতা। আমরা ফিরে এসেছি এবং এটা দারুণ। ফুটবল এমনই, এবং এজন্যই আমরা এটি ভালোবাসি ‘ ‘আমি মনে করি না আমি কখনো এমন একটি প্রত্যাবর্তন দেখেছি। এটি অবিশ্বাস্য।’—যোগ করেন ফ্লিক। চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে এ নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার কোনো দল ৪ গোল খেয়েও ম্যাচ জিতল। প্রথমবার এমনটা হয়েছিল ২০১৬ সালের নভেম্বরে, লেগিয়া ওয়ারশকে ৮–৪ গোলে হারিয়েছিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। এ জয়ে সরাসরি শেষ ষোলোতে খেলাও নিশ্চিত হলো হান্সি ফ্লিকের দলের।

SHARE

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিসে’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা। বুধবার গণমাধ্যমের কাছে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন একথা জানান।

তিনি বলেন, ‌‘গত ৮ জানুয়ারি থেকে ম্যাডাম লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি আছেন। তার সর্বশেষ রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করেছে প্রফেসর জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ড।
পরে আরো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে লন্ডনের আরো দুইজন চিকিৎসক তাকে দেখবেন।’

তিনি আরো জানান, লিভারের জন্য, কিডনির জন্য, হার্টের জন্য, ডায়াবেটিস, প্রেসার, রিউমোটো আর্থ্রারাইটিজ উনাকে এখন (খালেদা জিয়া) ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা চলছে। এর বাইরেও আরও যদি কোনো চিকিৎসা করা যায় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স হসপিটালের মেডিকেল টিমের সদস্যরা এখানে মেডিকেল বোর্ডের সভায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।
তার চিকিৎসা ‘এক ছাঁদের নিচে’ অর্থাৎ ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মতো করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

গত সাড়ে ৫ বছর বন্দী থাকা অবস্থায় সুচিকিৎসা না পাওয়ায় বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, এই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এবং বয়সের কথা বিবেচনায় রেখে তার জন্য যেটা সবচেয়ে মঙ্গলজনক হবে সেই ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করবে বলে আমরা আশা করি।

তিনি আরো বলেন, ‘আগামী দুই-তিনদিন পরে মেডিকেল বোর্ডের এক্সটেন্ডেড মেম্বাররাও চিকিৎসার বিষয়ে মতামত দিবেন। সেই অনুযায়ী তার চিকিৎসা চলবে।

দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, শুধু লন্ডনসহ প্রবাসীরা নয়, বাংলাদেশের মানুষ উদগ্রীব হয়ে আছেন ম্যাডামের সুস্থতার জন্য। উনার সুচিকিৎসা ও সুস্থতার জন্য আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। ম্যাডামের জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া কামনা করছি, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবও দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

তিনি জানান, বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা সার্বক্ষনিকভাবে নিকট আত্মীয়রা, বিশেষ করে তার দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান, সৈয়দা শামিলা রহমান, তিন নাতনি জাইমা রহমান (তারেক রহমানের মেয়ে), জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান (আরাফাত রহমান কোকোর মেয়ে) সব সময়ই এবং দেশের (লন্ডন) বাইরে যারা আছেন তারা ওভার টেলিফোন সার্বক্ষনিকভাবে ম্যাডামের খোঁজ-খবর নিতে যোগাযোগ রাখছেন।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় লন্ডন বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদসহ নেতৃবৃন্দ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে সবসময় নিরবচ্ছিন্ন কাজ করছেন বলে জানান জাহিদ।

৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।