পিটার বাটলার কোচ থাকলে অনুশীলন করবেন না সাবিনা খাতুন-মাসুরা পারভীনসহ ১৮ ফুটবলার। ইংলিশ কোচও নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তবে ১৮ জন নন, সুনির্দিষ্ট কজন দলে থাকলে কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন না তিনি।
আজ বিকেলে বাফুফে ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় নিজের স্পষ্ট অবদান জানিয়ে দিয়েছেন বাটলার।
বাফুফের বিশেষ কমিটিকে তিনি জানিয়েছেন, হয় তারা থাকবে, নয়তো আমি। নারী দলের কোচ বলেছেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছি, সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই। এটা কর্তৃপক্ষের পছন্দ, হয় তারা থাকবে, নয়তো আমি থাকব।’
তার বিরুদ্ধে কজন খেলোয়াড় মিথ্যা অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন বাটলার।
ইংলিশ কোচ বলেছেন, ‘নির্দিষ্ট কয়েকজন ডাহা মিথ্যা বলছে একটা ভবনে বসে, যেখানে বাফুফে তাদের খাবার, আবাসন সব কিছু দেয়। বিষয়টি আমার কাছে একেবারেই অবিশ্বাস্য যে, তারা এটা এলাও করছে। যে কথাগুলোর মধ্যে কোনো সত্য নেই, ভিত্তি নেই, মিথ্যা গল্প, কান্না, যেগুলো একেবারেই নির্বোধের কাজ। এটা বন্ধ হওয়া উচিত।
বন্ধ হতে হবে।’
খেলোয়াড়দের নাম সুনির্দিষ্ট করে বিশেষ কমিটির কাছে জানিয়েছেন বাটলার। তিনি বলেছেন, ‘আমি তাদেরকে (তদন্ত কমিটি) নামগুলো দিয়েছি। নির্দিষ্ট কিছু নাম। তাদের কথার কোনো ভিত্তি নেই।
ডাহা মিথ্যা বলছে। আমি এদেরকে অনুশীলন করাব না, যদি আমি কোচ থাকি। যদি তাদের এবং আমার মধ্যে বেছে নিতে হয় (বাফুফেকে), তাহলে সেটাই হোক। আমি বড় হয়েছি, আমার চওড়া কাঁধ আছে (দায়িত্ব নেওয়ার)। আমি যুক্তরাজ্য থেকে এসেছি। আমি তাদের কোচ। তারা এখান যেভাবে পারফরম করছে, এভাবে চললে তাদের রাস্তায় নেমে যেতে হবে। তারা কি আসলেই বুঝতে পারছে, এভাবে মিথ্যা বলে চলা যায় কি না। তারা ভাগ্যবান মেয়ে। টানা দুইবার সাফ জিতে নির্বোধের মতো কথা বলছে!’
দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবলে বাংলাদেশ রাজত্ব করলেও খেলোয়াড়দের মধ্যে শৃঙ্খলা নেই বলেই বিদেশের লিগে খেলতে পারেন না এমনটি জানিয়েছেন বাটলার। তিনি বলেছেন, ‘কজন বাংলাদেশি মেয়ে বিদেশের লিগে খেলে? তারা পারে না, কেননা, তাদের মধ্যে কোনো শৃঙ্খলা নেই। সেটাই কিন্তু বর্তমান সময়ে প্রতিফলিত হচ্ছে।’