Home আন্তর্জাতিক ফরাসি যুদ্ধবিমান ‘মিরেজ’ হাতে পেল ইউক্রেন

ফরাসি যুদ্ধবিমান ‘মিরেজ’ হাতে পেল ইউক্রেন

SHARE

ফরাসি যুদ্ধবিমান মিরেজ পৌঁছেছে ইউক্রেনে। আগেই এই যুদ্ধবিমান ইউক্রেনকে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল ফ্রান্স। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, নেদারল্যান্ডস থেকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান তাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। ফ্রান্স থেকে এসেছে মিরেজ ২০০০-৫ যুদ্ধবিমান।

জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমাদের বিমানবাহিনী ফ্রান্সের যুদ্ধবিমান হাতে পেয়েছে। আমি এর জন্য ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তিনি কথা রেখেছেন।’

ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর অফিসারদের ফ্রান্সে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
কিভাবে মিরেজ যুদ্ধবিমান চালাতে হয়, তা শেখানো হয়েছে। এদিন ইউক্রেনের ফাইটার পাইলটরাই ফ্রান্স থেকে ইউক্রেনে এই বিমানগুলো নিয়ে গেছেন।

২০২৪ সালের জুন মাসে ম্যাখোঁ জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনকে মিরেজ যুদ্ধবিমান দেওয়া হবে। কিন্তু কতগুলো দেওয়া হবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
তবে ফরাসি পার্লামেন্টের সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, পার্লামেন্টের বাজেট অনুযায়ী ইউক্রেনকে ছয়টি মিরেজ বিমান পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। যদিও ফরাসি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

এদিকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, নেদারল্যান্ডস থেকে আমেরিকার তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানও এসে পৌঁছেছে। খুব দ্রুত এই বিমান রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহৃত হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

নেদারল্যান্ডস ছাড়াও আরো বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশ ইউক্রেনকে জানিয়েছিল, আমেরিকার তৈরি এফ-১৬ বিমান তারা জেলেনস্কিকে দেবে।
এর মধ্যে নরওয়েও আছে। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

কুরস্কে ইউক্রেনের আক্রমণ

রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে কুরস্ক অবস্থিত। যার কিছু অংশ এখন ইউক্রেনের দখলে। বৃহস্পতিবার রাশিয়া জানিয়েছে, সেখানে ইউক্রেনের নতুন আক্রমণ তারা প্রতিহত করেছে। গত আগস্ট মাস থেকে ইউক্রেন কুরস্ক আক্রমণ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে তারা প্রায় এক হাজার বর্গকিলোমিটার অঞ্চল দখল করে নিয়েছিল।

ওই এলাকায় এরপর রাশিয়ার সঙ্গে একের পর এক সংঘর্ষ হয়েছে ইউক্রেনের। এ দিনের আক্রমণ নিয়ে রাশিয়া মুখ খুললেও ইউক্রেন এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কুরস্ক ইউক্রেনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে ইউক্রেন রাশিয়ার জমি দখল করে রেখেছে। ফলে ভবিষ্যতে আলোচনার সময় এই জায়গাটির বিনিময়ে নিজেদের হারানো জমি নিয়ে তারা দরাদরি করতে পারবে।