ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. তানভীর আহমেদ বলেছেন, ‘সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। অনিয়ম নিয়ে করা সাংবাদিকদের নিউজগুলো আমি সুশাসন ও নানা অভিযানে কাজে লাগিয়েছি।’
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির (সিআরইউ) কার্যালয়ে সংগঠনের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক ও বিদায়ি কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক তথ্যের মাধ্যমে অনেক অ্যাকশন নিয়েছি।
এ জন্য রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে মিডিয়া উইয়ং থাকে। কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের কাজে সহযোগিতা করেন।’
অনুষ্ঠানে সংগঠনের সদ্যঃ বিদায়ি সভাপতি হাসিব বিন শহিদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী, ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার কর্মকার ও আইনজীবী সমিতির কোষাধাষ্য আব্দুর রশিদ মোল্লা, ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের এডিসি নাসির উদ্দিন, বর্তমান সভাপতি লিটন মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক মামুন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা।
তানভীর আহমেদ বলেন, ‘আমার কিছু পরিকল্পনা আছে, এর ভেতর দ্রব্যমূল্য হ্রাস। ঢাকার বিভিন্ন খাসজমিতে জনতার বাজার হবে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো বাজার কন্ট্রোল করা।
চাইলেই কোনো সিন্ডিকেট যেন পণ্যের দাম বৃদ্ধি করতে না পারে। আমরা ঢাকার ২১টা খাল উদ্ধারের জন্য পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। বাউনিয়া খালের মাধ্যমে আমরা এ কার্যক্রম শুরু করেছি। সাংবাদিক সমাজ ভালো কাজে জনমত গঠনে ভূমিকা রাখবে, এ প্রত্যাশা করছি।’
ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনের সময় থেকেই আদালতপাড়ায় সাংবাদিকদের উপস্থিতি বেড়েছে।
সেই সময় দেখেছি বসার জায়গা না থাকায় সাংবাদিকরা সারা দিন গাছতলায় অতিবাহিত করলেও নিরপেক্ষতার জন্য কখনো আইনজীবীদের থেকে সুবিধা নিতেন না। তখন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত কোর্টে কী হচ্ছে, তা জাতির কাছে তুলে ধরেন। সাংবাদিকদের মাধ্যমে রাষ্ট্রে বার্তা যায়। ছাত্র আন্দোলনেও সাংবাদিকদের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আদালতে ফ্যাসিস্ট আসামিদের আদালতে আনা হলে সাংবাদিকরা তাদের অবস্থা সম্পর্কে তুলে ধরছেন। কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তাদের রুমের স্পেস বড় করাসহ অফিসের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয় দেখবেন বলে প্রত্যাশা রাখছি।’
ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম বলেন, ‘আদালতপাড়ার নিউজ আপনারা (সাংবাদিক) কভার করেন। যার যে দলই থাক, সবাই সত্য প্রকাশ করবেন। ঢাকা আইনজীবীদের সঙ্গে আপনাদের সাংবাদিকদের সমন্বয় থাকবে বলে আশা করি। কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির সংগঠনটি আরো বড় হবে। অফিস রুম যেন আরো বড় হয় সে জন্য আমরা ঢাকা আইনজীবী সমিতি আপনাদের পাশে থাকব। ছাত্র-জনতাদের নতুন বাংলাদেশের যে আশা আকাঙ্ক্ষা তা আপনারা বজায় রাখবেন প্রত্যাশা করছি।’
কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার কর্মকার বলেন, ‘হাঁটি হাঁটি পা পা করে ৪ বছর অতিবাহিত করল কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটি। প্রথমে ১২ জন দিয়ে শুরু। এখন প্রায় শতাধিক সাংবাদিক এই সংগঠনে। এই সংগঠনে পেশাদার মেইনস্ট্রিম গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাই কাজ করেন। সবাই নিরপেক্ষ জায়গা থেকে পেশাদারি বজায় রাখেন।’