আর্লিং হালান্ডের জোড়া গোলে ৮৫ মিনিট পর্যন্ত ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল সিটি। কিন্তু সেই লিড ধরে রাখতে পারল না গার্দিওলার দল। ছয় মিনিটের মধ্যে দুইবার ম্যানচেস্টার সিটির জালে বল পাঠিয়ে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিল রিয়াল মাদ্রিদ।
মঙ্গলবার রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নস লিগের প্লে-অফ ম্যাচের প্রথম লেগে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৩-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
সিটির হয়ে হালান্ডের জোড়া গোলের পর রিয়ালের হয়ে তিনটি করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, ব্রাহিম দিয়াজ ও জুড বেলিংহাম।
ম্যাচের শুরুতে সিটি দাপট দেখালেও পুরো ম্যাচে আক্রমণে এগিয়ে ছিল রিয়ালই। গোলের জন্য সিটির ১১ শটের ৪টি লক্ষ্যে রাখার বিপরীতে রিয়াল ২০টি শট নিয়ে ৮টি লক্ষ্যে রাখে।
১৯তম মিনিটে হালান্ডের গোলে এগিয়ে যায় সিটি।
জ্যাক গ্রিলিশকে পাস দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন হালান্ড। সতীর্থদের সঙ্গে কয়েকবার বল দেওয়া-নেওয়ার পর হাওয়ায় ভাসানো দারুণ এক পাস বাড়ান জ্যাক গ্রিলিশ। এরপর বক্সে বল পেয়ে গাভারদিওল বুক দিয়ে বাড়িয়ে দেন পাশেই থাকা হলান্ডের দিকে। বাকি কাজ সারতে ভুল করেননি নরওয়ের তারকা স্ট্রাইকার।
প্রায় চার মিনিট ধরে ভিএআরে পরীক্ষার পর গোলের বাঁশি বাজান রেফারি। উল্লাসে ফেটে পড়ে ইতিহাদ।
৩০ মিনিটে সিটির জন্য বড় ধাক্কা হয়ে আসে গ্রিলিশের চোট। দারুণ খেলতে থাকা এই উইঙ্গারকে তুলে নিতে বাধ্য হন গার্দিওলা। তার জায়গায় নামেন ফিল ফোডেন।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সুযোগ পান এমবাপ্পে, কিন্তু বক্সের ভেতর থেকে উড়িয়ে মেরে রিয়ালকে সমর্থকদের হতাশ করেন বিশ্বকাপ জয়ী ফরোয়ার্ড। বিরতির পর ম্যাচের ৫৪ মিনিটেও সহজ সুযোগ নষ্ট করেন এমবাপ্পে। ৬০তম মিনিটে তার গোলেই সমতায় ফেরে রিয়াল। ফেদে ভালভার্দের নেওয়া ফ্রি কিক সিটির এক খেলোয়াড় আটকে দিলে বল পেয়ে যান দানি সেবায়োস। সেবায়োসের ক্রসে ঠিকমতো ভলি করতে পারেননি এমবাপ্পে, তবে বল ঠিকই খুঁজে পায় জাল।
৮০ মিনিটে সিটি আবার এগিয়ে যায়। রিয়াল নিজেদের বক্সে ফোডেনকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। হালান্ডের সফল স্পট-কিকে আবার এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
৮৪ মিনিটে রদ্রিগোর বদলি হিসেবে নামান ব্রাহিম দিয়াজকে। দুই মিনিটের মধ্যে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান তিনি। ভিনিসিয়ুসের শট এডারসন ঠেকানোর পর জালে পাঠান দিয়াজ। এর পর যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে রিয়ালকে জয়ের উল্লাসে ভাসান বেলিংহাম। সিটির একটি ভুল পাস ধরে বল নিয়ে ছুটে যান ভিনিসিয়ুস। রিকো লুইসকে পেছনে ফেলার পর রুবেন দিয়াজকেও ফাঁকি দেন। তা দেখে এগিয়ে আসেন এডারসন। তাই দেখে ডান প্রান্তে এগিয়ে আসা বেলিংহামকে পাস দেন ভিনি। ফাঁকা পোস্টে বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল হয়নি এই ইংলিশ মিডফিল্ডারের।
১৯ ফেব্রুয়ারি প্লে-অফ পর্বের ফিরতি লেগের ম্যাচ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে।