ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার জানিয়েছেন, শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি সেখানে ব্রিটিশ সেনা মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আরো আগ্রাসন থেকে বিরত রাখতে হলে ইউক্রেনে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
সোমবার প্যারিসে ইউরোপীয় নেতাদের একটি জরুরি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে স্টারমার বলেন, যুক্তরাজ্য প্রয়োজনে নিজস্ব সেনা মোতায়েন করে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত। খবর বিবিসির।
এর মধ্য দিয়ে কিয়ার স্টারমার যুক্তরাষ্ট্রকে দেখাতে চাইছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে যে আলোচনা, তাতে ইউরোপের দেশগুলোর ভূমিকা থাকা উচিত। তবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এই প্রথম স্পষ্টভাবে ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করার কথা জানালেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন, কোনো শান্তিচুক্তি হলে তা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য সহায়তা করতে রাজি আছে।
ডেইলি টেলিগ্রাফে এক নিবন্ধে স্টারমার লেখেন, আমি এটা হালকাভাবে বলছি না।
আমি খুবই গভীরভাবে এই দায়িত্ব নিয়ে ভেবেছি। এটা করতে গিয়ে ব্রিটিশ সেনাসদস্যদের ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য আজ সোমবার প্যারিসে একটি সম্মেলনে বসতে চলেছেন ইউরোপের দেশগুলোর নেতারা। ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার প্রস্তুতি শুরু করেছে।
ওই আলোচনায় ইউরোপকে রাখা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেন বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত কেইথ কেলগ।
গত শনিবার কেলগের এই মন্তব্যের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ জরুরি ওই সম্মেলনের ডাক দেন। জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক, ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুত্তে, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশের নেতারা অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।