Home আন্তর্জাতিক ইলন মাস্কের সঙ্গে লড়াইয়ে ব্যাপক আয় কমেছে টুইটারের

ইলন মাস্কের সঙ্গে লড়াইয়ে ব্যাপক আয় কমেছে টুইটারের

SHARE

যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কের সঙ্গে লড়াইয়ে সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারের আয় ব্যাপক কমেছে। ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের বাজার দুর্বল হওয়ায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে মাইক্রোব্লগিং সাইটটির রাজস্বের আশ্চর্য পতন ঘটেছে। সেই সঙ্গে নিট লোকসান হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এপ্রিলে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কেনার ঘোষণা দেন ইলন মাস্ক। তবে স্প্যাম ও ভুয়া অ্যাকাউন্টের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি অনলাইন মাধ্যমটি-এ অভিযোগ তুলে জুলাইয়ে চুক্তি থেকে সরে আসেন তিনি।

এরপর টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করে টুইটার। যার বিচার আগামী অক্টোবর থেকে শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। এরই মধ্যেই ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুক্ষীণ হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি।

এ চুক্তির অনিশ্চয়তা টুইটারের বিজ্ঞাপনদাতাদের চিন্তায় ফেলেছে। অনেকে মাধ্যমটিতে বিজ্ঞাপন প্রচার কমিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া কোম্পানির অভ্যন্তরে বিশৃংখলা সৃষ্টি করেছে। ফলে প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব কমেছে।

আলোচিত সময়ে টুইটারের বিজ্ঞাপন আয় ২ শতাংশ বেড়ে ১ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। ওয়াল স্ট্রিটের ১ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারের পূর্বাভাসের যা বেশ কম।

এসময়ে টুইটারের শেয়ার মূল্যও কমেছে। গতকাল শুক্রবার (২২ জুলাই) প্রতিষ্ঠানটির প্রতি শেয়ারের দাম ছিল ৩৮ দশমিক ৯০ ডলার। সবমিলিয়ে তাদের নিট ক্ষতি হয়েছে ২৭০ মিলিয়ন ডলার। প্রতি শেয়ারের দরপতন ঘটেছে ৩৫ সেন্ট। যেখানে গত বছরের একই সময়ে টুইটারের মুনাফা ছিল ৬৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার। প্রতি শেয়ারে লাভ ছিল ৮ সেন্ট।

সাবস্ক্রিপশনসহ এ প্রান্তিকে টুইটারের মোট রাজস্ব হয়েছে ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার। এক বছরের আগের তুলনায় যা ১ শতাংশ কম। সেখানে বিশ্লেষকরা ১ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার আয়ের প্রত্যাশা করেছিলেন।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে টুইটারের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে। ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে এ সংখ্যা ছিল ২৩৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন। বিশেষজ্ঞদের পূর্বাণুমান ছিল ২৩৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন।

বেকায়দায় পড়ে কোম্পানিটির খরচ ও ব্যয় ৩১ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ইলন মাস্কের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে এসময়ে খরচ হয়েছে ৩৩ মিলিয়ন ডলার। অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় হয়েছে ১৯ মিলিয়ন ডলার।