Home জাতীয় আগামী বছরের শুরুতে সবার জন্য হেলথ চেকআপ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আগামী বছরের শুরুতে সবার জন্য হেলথ চেকআপ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

SHARE

আগামী বছরের শুরুতে সরকারি হাসপাতালগুলোতে সবার জন্য বাৎসরিক হেলথ চেকআপ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নবজাতকের বিশেষায়িত সেবা কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আগামী বছর থেকে সরকারি হাসপাতালে বাৎসরিক হেলথ চেকআপ শুরু করা সম্ভব হবে। ইতোমধ্যে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের জানুয়ারি এই সেবা চালু করা সম্ভব হবে। তখন দ্রুত সময়ে রোগ শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর ৯০ হাজার নবজাতক মারা যাচ্ছে। প্রতি মাসে ২৫০ জন ও প্রতিদিন ১০-১১ জন মারা যাচ্ছে। এসডিজি লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদেরকে শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে হবে। সেই ধারাবাহিকতায় সারা দেশে প্রায় ৫০টি হাসপাতালে এই বিশেষায়িত সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অপরিপক্ক ও নানা রোগে আক্রান্ত নবজাতকদের বিশেষায়িত সেবার জন্য স্ক্যানোতে রাখতে হয়। এই স্ক্যানোতে বিশেষায়িত সেবার ফলে নবজাতক সুস্থ হয়ে ওঠে। এসডিজি লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদেরকে শিশু মৃত্যুর হার ১০ শতাংশে কমিয়ে আনতে হবে। সেই ধারাবাহিকতায় সারা দেশে প্রায় ৫০টি হাসপাতালে এই বিশেষায়িত সেবাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমের দেশের প্রতিটি জেলা হাসপাতালে স্ক্যানো ইউনিট চালু করা হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা প্রদান পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে। আগামী ২৫ তারিখ থেকে সিটি কর্পোরেশনগুলোতে টিকাদান আগে শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশেই স্কুলগুলোতে শিশুদের টিকা দেয়া হবে। নিবন্ধন ছাড়া কেউ টিকা নিতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, এই সেবাকেন্দ্রে অপরিপক্ক ও নানা রোগে আক্রান্ত নবজাতকরা বিশেষায়িত সেবা পাবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি এখন ভালো আছে। কোভিডে মৃত্যুর হার প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে এবং আক্রান্তের হার ৪ ভাগের নিচে নেমে এসেছে। তবে এখনো অনেকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেননি। দ্বিতীয় ডোজ ৯০ লাখ মানুষ নেয়নি। এ ছাড়া বুস্টার ডোজ মাত্র চার কোটি মানুষ নিয়েছে। কেউ প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ না নিলে বুস্টার ডোজ পাবেন না।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বাড়ায় সারাদেশেই জনবলের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় নতুন জনবল কাঠামো তৈরি করে জনবল নিয়োগ দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কোভিডের মধ্যে ১৫ হাজার চিকিৎসক এবং ২০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রয়োজন অনুযায়ী সব হাসপাতালে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।

পরে হাসপাতালের মিলনায়তনে স্ক্যানো ইউনিট উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনো ভ্যান ম্যানেন, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, পৌর মেয়র মো. রমজান আলীসহ স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।