সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষাশৈলী ও শব্দচয়ন জনসাধারণকে মুক্তিযুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত করেছিল।
আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আনন্দে বিস্ময়ে হৃদয়ের অনুদিত স্বর’ শিরোনামে আবৃত্তি সংগঠন ‘স্বনন’ এর ৩৭ বছর পূর্তি উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে উচ্চমার্গীয় ভাষার ব্যবহার বাড়াতে হবে। জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ তাজউদ্দীন আহমদও উচ্চমার্গীয় ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে রাজনীতিকে সমৃদ্ধ করেছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভাষার বহুবিধ ব্যবহারের অন্যতম মাধ্যম কবিতা। আবৃত্তিশিল্পীরা তাদের ভাষার প্রয়োগ ও মুন্সিয়ানার মাধ্যমে সমাজে যেকোনো বার্তা সহজে পৌঁছে দিতে পারেন। সমৃদ্ধ ও উচ্চমার্গীয় ভাষা প্রয়োগ ও ব্যবহারের অন্যতম মাধ্যম আবৃত্তি চর্চা। আর কবিতাকে শিল্পরূপে যিনি চর্চা বা আবৃত্তি করেন তিনিই আবৃত্তিশিল্পী। মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাচিক ও আবৃত্তিশিল্পীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
কবি মারুফুল ইসলামের সভাপতিত্বে উৎসব উদ্বোধন করেন আবৃত্তি ও অভিনয়শিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কবি নাসির আহমেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান ও আবৃত্তিশিল্পী রূপা চক্রবর্তী।