নবনিযুক্ত মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন বিশেষায়িত বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সংস্কারের কোনো প্রশ্নই আসে না বললেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন বাহিনীটি সব সময়ই সংস্কারের মধ্যে আছে। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এলিট ফোর্সটিতে যারা অপরাধ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের অনেকে জেলে আছেন।
আজ রোববার (২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁওয়ে মানব পাচার নিয়ে (লঞ্চিং অব দ্যা ফার্স্ট ন্যাশনাল স্টাডি অন ট্রাফিকিং ইন প্রিজনস ইন বাংলাদেশ) আয়োজিত গবেষণা প্রতিবেদন উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ দাবি করেন মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এলিট ফোর্স র্যাবকে আমরা দায়িত্ব দিয়ে থাকি। বাহিনীটি সে নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করে। যদি কেউ ভুল করেন, আমাদের কাছে যে রিপোর্ট আসে; আমরা সেগুলো স্টাডি করি। কারও যদি এখানে ইনভলভম্যান্ট থাকে সেটিও আমরা দেখছি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমাদের কাছে যে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে, সেগুলো আমরা প্রতিনিয়ত যাচাই করে দেখছি। সেখানে যদি কোনো ভুল থাকে তাও দেখা হবে।
র্যাব সংস্কার ও জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে সরকারের অবস্থান কি? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, র্যাব যখন তৈরি হয়, তাদের ট্রেনিং ইউএসএ দিয়েছে। কাজেই আমরা মনে করি র্যাব যদি কোনো ভুল করে থাকে তবে সেগুলোও আমরা দেখছি। র্যাব বা পুলিশ যারাই অপরাধযোগ্য কাজ করছে তারা কিন্তু শাস্তির বাইরে যায়নি। এখনও অনেক পুলিশ ও র্যাব সদস্য জেল খাটছে। আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। আমাদের জানতে হবে তারা অন্যায়টা কি করছে। আর সংস্কারের কথা বলতে র্যাব সব সময় সংস্কারের মধ্যেই আছে। আমরা সবকিছু আধুনিক করছি। যেটা প্রয়োজন সেটাই দিচ্ছি।
এর আগে মানব পাচার নিয়ে আয়োজিত গবেষণা প্রতিবেদন উন্মোচন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানব পাচার বিশ্বব্যাপী সমস্যা। ভুক্তভোগীদের যারা পাচার করেছে তাদের শাস্তির মুখোমুখি এনে এ সমস্যার সমাধান করতে চাই।
২০১২ সালে আইন তৈরি করা হয়েছে। কমিটিও গঠন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।