এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
প্রশ্নফাঁসের নতুন কোনো পদ্ধতি মোকাবেলা করতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে অবিনব কায়দায় প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা হয়েছিল। গত পরীক্ষায় যেসব ছোটখাটো ব্যত্যয় ঘটেছে তা বিশ্লেষণ করে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমি আশা করি এই পরীক্ষায় তা কার্যকর থাকবে। তারপরও কেউ যদি কোথাও অপচেষ্টা করেন তাহলে আমরা সবাই মিলে তা প্রতিরোধ করব। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার (৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
কোচিং সেন্টার বন্ধ প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, কোচিং বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে। আর একই কোচিং সেন্টারে অনেক ধরনের কোচিং চলে। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা শিক্ষা বোর্ডের পক্ষে একা বন্ধ করা সম্ভব নয়। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোচিংয়ের প্রয়োজন আছে। ক্লাসে এত শিক্ষার্থী, সকলের প্রতি শিক্ষকদের আলাদা নজর দেওয়া সম্ভব নয়। তবে নতুন যে শিক্ষাক্রম, তাতে কোচিংয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না বলে আশা করি।
আগামী বছরের পরীক্ষা এগিয়ে আনা হবে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, এবার আমরা চেষ্টা করেছিলাম জুলাই-আগস্টে পরীক্ষা নিয়ে আসতে। কিন্তু দেশের একটি অঞ্চলে বন্যার কারণে পরীক্ষা নিতে দেরি হয়ে গেল। এরপরের বছর আরও এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব। স্বাভাবিকের যত কাছাকাছি আনার চেষ্টা করব। আর আগামীতে যদি কোনো অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় তাহলে সেই বোর্ডের পরীক্ষা সাময়িক বন্ধ রেখে অন্য বোর্ডের পরীক্ষা নিতে।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি কেন্দ্র ঘুরে দেখলাম বাইরে অভিভাবকদের অনেক ভিড়। যারা আগে এসেছেন তারা সন্তানকে ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। তাদের এতো ভিড় যে বাকি পরীক্ষার্থীদের ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে। অভিভাবকদের আমি অনুরোধ জানাব, সন্তানকে কেন্দ্রে ঢুকিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্র ত্যাগ করতে। তাহলে কোনো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে ঢুকতে সমস্যা হবে না।
সারাদেশে মোট ১২ লাখ তিন হাজার ৪০৭ পরীক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ২২ হাজার ৭৯৬ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ জন। মোট ২ হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিতব্য এই পরীক্ষায় ৯ হাজার ১৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন।