Home জাতীয় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে : আইনমন্ত্রী

মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে : আইনমন্ত্রী

SHARE

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, সুরক্ষা ও উন্নয়নে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্ন উঠছে, সেখানেই সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। বাংলাদেশে যারাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে, তাদেরকেই আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে মানবাধিকার দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
তিনি বলেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে সরকারের অনেক বড়বড় অর্জন সত্ত্বেও রাজনৈতিক উদ্দেশে কেউ কেউ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে নেতিবাচকভাবে চিত্রিত করার হীন চেষ্টা করছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৭ অনুচ্ছেদ ও সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের ২০ অনুচ্ছেদে শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করার অধিকারের কথা বলা আছে, কিন্তু মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার এ দুটি অনন্য দলিলের কোথাও বলা নেই—রাস্তাঘাট বন্ধ করে, জনসাধারণের চলাচলের পথ রুদ্ধ করে সভা-সমাবেশ করা যাবে।
আনিসুল হক বলেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন করে এর অধীনে শক্তিশালী জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার।
তিনি বলেন, মানুষ ন্যায়বিচার পাচ্ছেন। মানবাধিকার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। বাংলাদেশ চার চার বার জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যপদ লাভ করেছে।
মন্ত্রী বলেন, আজকাল মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে কি না, তা জানার আগেই অনেকে আমাদের মানবাধিকার বিষয়ে ছবক দিচ্ছেন।
আনিসুল হক বলেন, যে বঙ্গবন্ধু তাঁর সারাটা জীবন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষার জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করেছিলেন, সেই বঙ্গবন্ধুকে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সপরিবারে নৃসংসভাবে হত্যা করা হয়, যা ছিল বিশ্বের ইতিহাসে ঘৃণ্যতম ও চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বীভৎসতা এত ভয়াবহ ছিল যে, ইনডেমনিটি আইন করে দীর্ঘ ২১ বছর খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল, তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল এবং বিশ্বের বড় বড় দেশ খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছিল।