Home আন্তর্জাতিক জিম্মি মুক্তির চুক্তিতে ইসরায়েল এখন সম্মত : নেতানিয়াহুর কার্যালয়

জিম্মি মুক্তির চুক্তিতে ইসরায়েল এখন সম্মত : নেতানিয়াহুর কার্যালয়

SHARE

যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও গাজায় সামরিক অভিযান শেষ হয়নি। হামাস পরিচালিত সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, কাতারের ঘোষণার পর গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এই যুদ্ধবিরতি একটি উল্লেখযোগ্য কূটনৈতিক সাফল্য। যদিও এই চুক্তি অনেক দেরিতে হলো।

গত বছরের মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণার পর চুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা চলছিল। তবে চুক্তিতে দেরি হওয়ার জন্য অবশ্য পরস্পরকে দোষারোপ করেছে হামাস-ইসরায়েল। এই চুক্তির প্রথম বড় চ্যালেঞ্জ হলো যুদ্ধবিরতি বহাল রাখা। ৪২ দিনের প্রথম ধাপের পর যুদ্ধ আবার শুরু হতে পারে বলে পশ্চিমা জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকরা আশঙ্কা করছেন।

এদিকে জিম্মি মুক্তির চুক্তিতে ইসরায়েল এখন সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছে নেতানিয়াহুর কার্যালয়। নেতানিয়াহু গতকাল বৃহস্পতিবার নির্ধারিত গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার ভোট বিলম্বিত করেছিলেন। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, হামাস চুক্তিতে শেষ মুহূর্তের পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে।

আজ শুক্রবার সকালে তার কার্যালয় জানায়, আলোচনাকারী দল নেতানিয়াহুকে চুক্তিতে সম্মত হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন।
এরপর তিনি আজ শুক্রবার রাজনৈতিক-নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন, সরকার চুক্তিটি অনুমোদনের জন্য বৈঠক করবে। এ ছাড়া জিম্মিদের পরিবারকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দোহায় আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন ইসরায়েল, হামাস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কাতারের প্রতিনিধিরা। বুধবার প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি বলেন, ‘চুক্তিটি রবিবার থেকে কার্যকর হবে, এখন ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে চুক্তিটি।

এর আগে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, চুক্তির চূড়ান্ত বিশদ নিয়ে এখনো কাজ চলছে। এ ছাড়া নেতানিয়াহু গতকাল বৃহস্পতিবার চুক্তিটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার ভোটও বিলম্বিত করেন। তিনি অভিযোগ করেন, হামাস ‘শেষ মুহূর্তে নানা ছাড় আদায়ের’ চেষ্টা করছে।

এদিকে হামাস বলেছে, তারা চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদিও ইসরায়েলি আলোচকরা কয়েক মাস ধরে আলোচনার পর যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন, তবে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা এবং সরকার কর্তৃক অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত এটি বাস্তবায়ন করা যাবে না।