ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি বলে জানিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই তথ্য জানিয়েছেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে চান বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
গত ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে জয়লাভের আগে ট্রাম্প বহুবার বলেছেন, তিনি তার ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে একটি চুক্তি করার চেষ্টা করবেন।
তবে ট্রাম্পের উপদেষ্টারা এখন বলছেন, যুদ্ধের সমাধান হতে কয়েক মাস সময় লাগবে।
এর আগে গত বুধবার (২২ জানুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়াকে সতর্ক করে বলেছিলেন, যুদ্ধ বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে রাশিয়ার ওপর উচ্চ শুল্ক ও আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন। এরপরই মূলত রাশিয়ার পক্ষ থেকে আলোচনায় বসার সম্মতি জানানো হলো।
সোমবার ট্রাম্প বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে বলেন, ‘আমি দ্রুত প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা করে এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারি।
এটি অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে নয় বা অন্য কোনও কিছুর দিক থেকে নয়। এটি লাখ লাখ জীবন নষ্ট হচ্ছে তার দৃষ্টিকোণ থেকে… এটি একটি হত্যাকাণ্ড। এবং আমাদের সত্যিই সেই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।’ ট্রাম্প ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধকে হাস্যকর যুদ্ধ বলে অভিহিত করেছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি যা শুনেছি, পুতিন আমার সঙ্গে দেখা করতে চান এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেখা করব।’ তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিদিন যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাদের হত্যা করা হচ্ছে।’ ট্রাম্প আরো বলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও তাকে বলেছিলেন যুদ্ধ শেষ করার জন্য একটি চুক্তি করতে প্রস্তুত তিনি।
তবে ট্রাম্প শান্তি মীমাংসার জন্য মার্কিন প্রচেষ্টার কথা বললেও বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি। রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল।
ট্রাম্প বৃহস্পতিবার আরো বলেন, তিনি পারমাণবিক অস্ত্র হ্রাসের জন্যও কাজ করতে চান। তিনি মনে করেন রাশিয়া এবং চীন তাদের নিজস্ব অস্ত্র ক্ষমতা হ্রাস করার পক্ষে সমর্থন করতে পারে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ দেখতে চাই … এবং আমি আপনাদের বলতে চাই পুতিন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের ধারণাটি সত্যিই পছন্দ করেছেন। আমি মনে করি বাকি বিশ্বরও এগিয়ে আসা উচিত।’
পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছেন। পুতিন তার পারমাণবিক শক্তির আধুনিকীকরণ করছেন এবং মার্কিন-রাশিয়া অস্ত্র সীমাবদ্ধতা চুক্তি, নিউ স্টার্ট প্রতিস্থাপনের বিষয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
সূত্র: রয়টার্স