একজন সাবেক ব্রিটিশ সেনা সদস্যকে সোমবার যুক্তরাজ্যের একটি আদালতে ইরানের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ১৪ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। এর আগে তিনি বিচার শুরু হওয়ার আগে কারাগার থেকে পালিয়ে গিয়ছিলেন।
ড্যানিয়েল খলিফ (২৩) গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন এবং গত নভেম্বরে কারাগার থেকে পালিয়ে যান। লন্ডনের দক্ষিণ-পূর্ব অংশের উলউইচ ক্রাউন কোর্টের বিচারক এদিন তাকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও তিন মাসের অতিরিক্ত শাস্তি দেন।
এটি ছিল ‘বিপজ্জনক ও কাল্পনিক পরিকল্পনা’ বাস্তবায়নের জন্য, যেখানে তিনি ইরানি গোয়েন্দাদের কাছে সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করতেন।
সাবেক এই সেনা সদস্য দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন, যার মধ্যে বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের নামও অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরে ২০২৩ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। খলিফ ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর ইরানি গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এবং পরে ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের জানান, তিনি দ্বৈত এজেন্ট হতে চান।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে খলিফ লন্ডনের একটি কারাগার থেকে খাদ্য সরবরাহ ট্রাকের তলায় আটকে থেকে পালিয়ে যান। এর ফলে তিন দিনব্যাপী একটি জাতীয় তল্লাশি শুরু হয় এবং কারাগারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়।
খলিফের মা একজন ইরানি। তিনি দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনে বড় হয়েছেন।
২০১৮ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। বিচার চলাকালে খলিফের ফোন থেকে একটি ছবি প্রদর্শিত হয়, যেখানে ১৫ সেনা সদস্যর একটি হাতে লেখা তালিকা ছিল, যার মধ্যে তাদের সার্ভিস নম্বর, পদমর্যাদা, আদ্যক্ষর, পদবি ও ইউনিট ছিল। বিচারকের মতে, বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের এই তথ্য ‘নিশ্চিতভাবে মূল্যবান ছিল এবং তা একটি শত্রু রাষ্ট্রকে দেওয়া হলে বিপদ অনেক বাড়িয়ে দিতে পারত’।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত টেক্সাসের ফোর্ট হুডে কর্মরত অবস্থায় খলিফ ইরানি তত্ত্বাবধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। এ ছাড়া তিনি তুরস্কেও সফর করেন, যেখানে তিনি ইরানি তত্ত্বাবধায়কদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তথ্য বিনিময়ের জন্য দুইবার অর্থ সংগ্রহ করেন।
সূত্র : এএফপি