Home রাজনীতি আন্দোলন করা ছাত্রদের কেন চিকিৎসার জন্য বিক্ষোভ করতে হয় : দুদু

আন্দোলন করা ছাত্রদের কেন চিকিৎসার জন্য বিক্ষোভ করতে হয় : দুদু

SHARE

বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘আপনাকে যারা ক্ষমতায় বসিয়েছে, সেই ছাত্ররা এখন চিকিৎসা পাচ্ছে না। তাদের বিক্ষোভ করতে হচ্ছে, রাস্তায় নামতে হচ্ছে! এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা এই জাতির জন্য আর দ্বিতীয়টা থাকতে পারে না।’

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এই নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনার বেতনের টাকা, উপদেষ্টাদের বেতনের টাকা, যথাসময়ে যদি রাষ্ট্র পরিশোধ করতে পারে, সচিব, পুলিশের বেতনের টাকা (যাদের অস্ত্র ছাত্রদের পঙ্গু বানিয়েছে) যদি রাষ্ট্র যথাসময়ে পরিশোধ করতে পারে, তাহলে হাসপাতালের টাকা কেন পরিশোধ হয় না? তাদের (জুলাই আন্দোলনে আহতদের) বিক্ষোভ করতে হয় কেন? এমন প্রশ্ন যদি সামনে আসে, তাহলে তা আমাদের জন্য বিব্রতকর। কারণ আমরা এই সরকারকে সমর্থন দিয়েছি, দিচ্ছি। এই জিনিসটা সরকার যদি মাথায় রাখে, তাহলে আমার মনে হয় ভালো হয়।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা সরকারপ্রধান হিসেবে ড. ইউনূসকে শুধু সমর্থনই দিই নাই, তার গতিপথ যাতে আরো ত্বরান্বিত হয়, আরো সুন্দর এবং চমৎকার হয়, সে ধরনের সহযোগিতা আমরা তাকে করেছি, এখনো করছি, ভবিষ্যতেও করব।
তার ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু তার কাজকর্ম সম্পর্কে ইদানীং বিভিন্ন কথাবার্তা হচ্ছে, আমরা প্রত্যাশা করছি, জাতি প্রত্যাশা করছে, সেগুলো নিয়ে কিছু কিছু কথা থেকে যায়। কিছু প্রসঙ্গ আসে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার সংস্কারের প্রশ্নে খুবই করিৎকর্মা।
কিন্তু ছয় মাসের যে সংস্কার, সেই সংস্কার সমন্ধে দেশবাসী কিছুটা উদ্বিগ্ন, আমরাও উদ্বিগ্ন। তারা কী করেছে, আমরা জানি না। তবে এতটুকু জানি বাজার ঠিক হয়নি। বাজারে যে আগুন জ্বলছিল, সে আগুন এখনো নিভে নাই। বাজারে যে চোর, ডাকাত, খুনি, লুটেরাদের সিন্ডিকেট ছিল, তাদের ধরা সম্ভব হয়নি, জেলে ভরা সম্ভব হয়নি।
৬ মাস কিন্তু চলে গেছে।’

সরকারের সমালোচনা করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘এ সরকার কী পেরেছে, আর কী পারেনি, সেই আলোচনার আগে যদি বলি তারা শ্রমিককে হত্যা করেছে? এই কথাটা সত্য। হাসিনাও শ্রমিক হত্যা করত। এ সরকার বিনা বিচারে ক্রস ফায়ার বলেন, এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং বলেন, যাই বলেন… হাসিনা যেমন বিএনপির নেতাকর্মীকে খুন করেছে, এই সরকারও কুমিল্লা থেকে খুনের ইতিহাস শুরু করেছে। এটা তো অস্বীকার করা যাচ্ছে না। শ্রমিক হত্যা হয়েছে, রাজনৈতিক দলের নেতা হত্যা হয়েছে। পার্থক্যটা কী? এটা যদি কেউ প্রশ্ন করে, তাহলে জটিলতা তৈরি হবে। এই কাজের জন্য আমরা কি আপনাকে অভিনন্দন জানাব? সমর্থন জানাব? তাহলে তো বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে। অনতিবিলম্বে দোষী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনতে হবে। না হলে মানুষ এবং রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মধ্যে জন-অসন্তোষ, বিক্ষোভ ধুমায়িত হচ্ছে। তা ফেটে পড়তে পারে।’

নাগরিক সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কৃষক দলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদী, কর্মজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ সরদার প্রমুখ।